গত ১৬ জানুয়ারি থেকেই ঘটনার ঘনঘটা পটৌদী পরিবারে। সে রাতে তারকার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলায় জখম হন বলিউড তারকা সইফ আলি খান। শিরদাঁড়ায় ছুরির কোপ, রক্তভেজা জামায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে অভিনেতা সোজা অটোরিকশা ধরে চলে যান লীলাবতী হাসপাতাল। এত বড় একজন তারকা এমন রক্তস্নাত হয়ে আট বছরের ছেলের হাত ধরে হাসপাতালে ঢুকলেন!
এর আগেই জানা গিয়েছিল এ সব ঘটনাপরম্পরা। শোনা গিয়েছিল, হাসপাতালে ঢুকে নিজের পরিচয় দেন তিনি। স্ট্রেচার ছাড়া সোজা হেঁটেই ঢোকেন হাসপাতালে! আসল সত্যটা জানালেন সইফ নিজেই।
আরও পড়ুন:
সইফ বলেন, “আমি প্রথম খানিকটা সময় নিলাম, ঘটনাটা অদ্ভুত। যা-ই হোক সোজা ঢুকে বললাম আমি সইফ আলি খান। প্রথমে তাঁরা থতমত খেয়ে যান। তার পর হুইল চেয়ার এগিয়ে দেন। আমি বললাম স্ট্রেচার আনুন সেটাই সুবিধে। সমস্ত চিকিৎসক ছুটে আসেন। আমি আসলে শৌচাগারে যেতে চেয়েছিলাম। ওঁরা ক্যাথিটার পরাতে চেয়েছিলেন। আমি অবশ্য আপত্তি করি। হেঁটেই ঢুকলাম শৌচকর্ম করতে। তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, ওই অবস্থায় আমি হেঁটে ঢুকেছি। তাঁরা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলেন।”
তার পর এমআরআই হয়। শিরদাঁড়ায় প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় অভিনেতার। সইফের কথায়, “ছয় ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় ঘাড়ে ও হাতে তার পর আরও আড়াই ঘণ্টা শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার হল। আমার জীবনের এখনও পর্যন্ত সব থেকে বড় অস্ত্রোপচার।”