সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল মুম্বই শহর। হামলার তিন দিন পরেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন মূল অভিযুক্ত। গত কয়েক দিন হল ফের কাজে ফিরেছেন সইফ। প্রশ্ন উঠছে, এখন নিরাপত্তার খাতিরে কী কী বিষয় মাথায় রাখছেন সইফ? সম্প্রতি সেই রাতের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সইফ। বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখবেন কি না, তা নিয়েও কথা বলেছেন অভিনেতা।
একসময়ে বন্দুক রাখতেন সইফ। কিন্তু সন্তানদের সুরক্ষার কথা ভেবে আর রাখেননি। সইফ বলেছেন, “আমার নিজেরও একটি বন্দুক ছিল। সৌভাগ্যবশত, এখন আর আমি বন্দুকটা রাখি না। এখন আর বন্দুক রাখায় বিশ্বাস করি না আমি। ভেবেছিলাম, বন্দুক দেখলেই বাচ্চারা হাত দেবে। তার পর আর এক সমস্যা হবে। পটৌদীদের কাছে আগে বন্দুক থাকত ঠিকই। রাজওয়ারা ও রাজস্থানি— যাঁদের কাছে সাধারণত বন্দুক থাকে, তাঁরা সকলে আমাকে মেসেজ পাঠাচ্ছে। তাঁরা বলছে, দুষ্কৃতী কী ভাবে পালিয়ে বাঁচল সেই রাতে। আমার বাবা কিন্তু বন্দুক নিয়ে ঘুমোতেন। কিন্তু আমি মনে করি, বন্দুকের জন্য অঘটন ঘটে যেতে পারে। বাচ্চারা এই সব নিয়ে খেলতে আসে। তার পর অঘটন ঘটে গেলে মুশকিল।”
আরও পড়ুন:
তাই বাড়িতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পুরনো দিনের কিছু তরোয়াল রয়েছে, যে গুলি গৃহসজ্জার কাজেই ব্যবহার করা হয়। সইফের কথায়, “এখন লোকজন আমাকে বলছেন, নিরাপত্তার জন্য বন্দুক নিয়ে ঘুমনো উচিত।” তা হলে ভবিষ্যতে কি নিজের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখবেন সইফ? অভিনেতা বলেন, “মনে হয় না, আমি সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখব। আমার জীবনযাপনে কোনও পরিবর্তন হবে না। আমার মনে হয় না, আমার আর কোনও ঝুঁকি রয়েছে। এটা একটা ডাকাতির ঘটনা ছিল মাত্র। আমার চেয়ে বরং ওই গরিব মানুষটার (অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম) জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল।”