সালটা ২০০৮। সেই প্রথম পর্দায় ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ পুরুষালি চেহারায় আবির্ভূত সইফ আলি খান। ছবির নাম ‘রেস’। ১৪ বছর পরে পর্দায় পুরুষ হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ হিসেবেই সেই ছবিকে ফিরে দেখলেন শর্মিলা ঠাকুরের পুত্র।
১৯৯২-এ প্রথম ছবি ‘বেখুদি’। তার পর ‘ইয়ে দিল্লাগি’ কিংবা ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’। কেরিয়ারের শুরুর দিকেই ঝুলিতে জনপ্রিয় ছবি। চোখ-নাক-মুখ একেবারে মা শর্মিলার আদল। ইন্ডাস্ট্রির ‘চকোলেট বয়’ হয়ে গেলেন সইফ। মিষ্টি চেহারার নায়ক হিসেবেই কেটে গেল বেশ কয়েকটা বছর। ‘তা রা রাম পাম’, ‘পরিণীতা’, অথবা ‘সালাম নমস্তে’র মতো ‘হিট’ ছবিতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
অতঃপর পরিচালক জুটি আব্বাস-মস্তানের ‘রেস’। ক্ষমতাবান, ক্রূর ব্যবসায়ী ‘রণবীর রনি সিংহ’-এর ধূসর চরিত্রে প্রথম দেখা গেল সইফকে। বক্স অফিস তোলপাড় করা সেই ছবিতে তাঁর এমন অন্য ধারার চরিত্র বা ইমেজ, দুই-ই রীতিমতো মনে ধরল দর্শকের। তার পরেই বিশাল ভরদ্বাজের ‘ওমকারা’। তাতেও রুক্ষ, শুষ্ক পুরুষালি চরিত্রে দাপুটে অভিনয়ে নজর কাড়লেন এত দিনের রোমান্টিক নায়ক। পরবর্তীতে ‘রেস’-এর সিক্যুয়েলেও নজর কেড়েছে সমানতালে নজর কেড়েছে সইফের অভিনয়।
‘রেস’-এর মুক্তির ১৪ বছর পার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিনয় জীবনে মাইলফলক হয়ে ওঠা এই ছবি নিয়ে অকপট শর্মিলা-তনয়। সইফের কথায়, “এই ছবিই প্রথম আমায় পর্দায় পুরুষ করে তুলল। তার আগে পর্যন্ত দর্শক আমাকে চকোলেট বয় হিসেবেই চিনতেন। ছবি এবং রণবীরের চরিত্র দুটোই আমার কাছে একেবারে আলাদা রকমের ছিল। এত দিন যে ধরনের চরিত্রে অভ্যস্ত ছিলাম, ‘রেস’-এর রণবীর তার চেয়ে অনেক চুপচাপ, অনেকটা পরিণত। নিজের এত দিনকার ইমেজ ভেঙে সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম আমি।”
সইফের আগামী ছবি ‘বিক্রম বেদ’। সহ-অভিনেতা ঋত্বিক রোশন। একাধিক ভাষার ছবি ‘আদিপুরুষ’-এ প্রভাস এবং কৃতী শ্যাননের সঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে ৫১ বছরের অভিনেতাকে।