সইফ-কাণ্ডে কত দিনের জেল হল শরিফুলের? গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সইফ আলি খানের উপর ছুরি হামলার ঘটনায় ধৃত শরিফুল ইসলাম শাহজ়াদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিল বান্দ্রা আদালত। বুধবার, অভিযুক্তকে আদালতে তুলে মুম্বই পুলিশ ফের তাঁকে হেফাজতে চায় তদন্তের স্বার্থে। কিন্তু বিচারক জানিয়ে দেন ইতিমধ্যেই ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে কাটিয়ে ফেলেছেন শরিফুল। মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে না। বান্দ্রা আদালতের বিচারক শরিফুলকে ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকার এক অভিজাত আবাসনে সইফ আলি খান ও করিনা কপূর খানের ফ্ল্যাটে এক দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে সে গৃহকর্তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে দাবি করা হয়। এর পরই গত ১৮ জানুয়ারি ঠাণে এলাকার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। মুম্বই পুলিশের দাবি, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।
বুধবার, বান্দ্রা আদালতে তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ঘটনার আগে সইফের বাড়ি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসেছিলেন শরিফুল, ছিল পূর্বপ্রস্তুতি। তিনি আরও জানান, এ দেশে শরিফুলকে আরও কেউ সাহায্য করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছেছে তদন্তকারী দল। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, “আমরা খতিয়ে দেখতে চাইছি, কে বা কারা অভিযুক্তকে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসতে সাহায্য করল, কাদের সাহায্যে অভিযুক্ত বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছে অর্থসাহায্য পাঠাতেন।”
এর বিপক্ষে শরিফুলের কৌঁসুলি আদালতে জানান, তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে, অভিযুক্তের আর পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন নেই। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক তাঁরা পর্যবেক্ষণে জানান, অভিযুক্ত ১০ দিনের বেশি পুলিশি হেফাজতে কাটিয়ে ফেলেছেন। নতুন করে পুলিশি হেফাজতে রাখার মতো কোনও কারণও দেখা যাচ্ছে না। বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, তদন্তে যদি নতুন করে কিছু পাওয়া যায় তা হলে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ (বিএনএসএস) অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তকারী আধিকারিক অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy