(বাঁ দিকে) অভিষেকের সঙ্গে সইফ। করিনা কপূর ও সইফ আলি খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
অম্বানী বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানেই থাকে তারকাদের ভিড়। গণেশ চতুর্থীর উৎসবেও চিত্রটা একই রকম। সন্ধ্যা থেকে ‘আন্টালিয়া’য় অতিথিদের ভিড়। খ্যাতনামী সব তারকারা আসেন অম্বানী বাড়ির অনুষ্ঠানে। শনিবার সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক হাজির হন সইফ আলি খান। করিনার পরনে লাল চুড়িদার। সইফ আলির পরনে লাল পাঞ্জাবি, ঘিয়ে রঙের ধুতি। এ দিন সইফকে দেখে অনেক নেটাগরিকের দাবি, এ বার সাজের দিক থেকে স্ত্রী করিনাকে নাকি ছাপিয়ে গিয়েছেন সইফ। এ বার অভিনেতার সাজপোশাকের নেপথ্যে বাঙালি পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়।
গত এক বছর ধরেই অভিষেকের পোশাক ধারাবাহিক ভাবে পরে চলেছেন সইফ। বরাবরই বাঙালি ধুতি-পাঞ্জাবির প্রতি দুর্বলতা তাঁর। গত বছর দীপাবলির দিনও অভিষেকের ধুতি-পাঞ্জাবিতেই সেজেছেন তিনি। এমনকি পটৌডি প্যালেসে একান্ত যাপনেরও সময়েও অভিষেকের পাঞ্জাবিতে দেখা যায় অভিনেতাকে। যদিও গত দু’বার হালকা রঙের পোশাকে দেখা গিয়েছিল সইফকে। এ বার গণেশ পুজোকে মাথায় রেখেই অভিষেকের এই ডিজাইন। শিল্পী বলেন, ‘‘সইফ পোশাকের বিষয়ে দু’টি জিনিসই খোঁজেন, সঠিক ফিট ও পোশাক আরামদায়ক কি না! সেটা তিনি আমার কাছে পেয়েছেন। এই পাঞ্জাবিটা গোল্ড অ্যান্ড গোল্ড ব্রোকেডে তৈরি।’’
যদিও পোশাক নিয়ে তারকারা বেশ খুঁতখুঁতে হন। কিন্তু, গত এক বছর কাজ করে অভিষেক তেমন কিছু লক্ষ করেননি। অভিষেকের কথায়, ‘‘সইফ ভীষণ সহযোগিতা করেন। এ বার ভিডিয়ো কলেই ধুতির নীচের ড্রেপিংটা দেখিয়েছি। কোনও বিরক্তি নেই ওঁর।’’ সইফ তো সন্তুষ্ট। কিন্তু, করিনাকে নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা অভিষেকের? শিল্পীর কথায়, ‘‘আপাতত আমি সইফকে নিয়ে খুশি।’’ এই মুহূর্তে সইফের পরবর্তী পাঞ্জাবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy