(বাঁ দিকে) সুনীল ছেত্রী ও সাহেব ভট্টাচার্য। ছবি: ফাইল।
বৃহস্পতিবার সকালে ফুটবলের জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান সুনীল ছেত্রী। ৬ জুন যুবভারতীতে ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন তিনি। তাঁর অবসরের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন শ্বশুরমশাই সুব্রত ভট্টাচার্য। তবে শ্যালক সাহেবের মিশ্র অনুভূতি। তিনি বললেন, “অবসর নেওয়ার কথা শুনে সুনীলের মা, আমার মা, বোন সকলেই কেঁদে ফেলেছিলেন।”
তিনি আরও জানালেন, খেলার মাঠে ১১ নম্বর জার্সির তুখোড় পারফরম্যান্স আর দেখতে পাবেন না, এটা খুবই কষ্টের। তবু ভগ্নিপতীর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে সাহেব বললেন, “আগে থেকেই জানতাম আমরা। একেবারে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুনীল। যদিও আরও দুই-তিন বছর খেলতে পারত। কিন্তু ফর্মে থেকে অবসর নেওয়ার মধ্যে একটা আলাদা ব্যাপার আছে।”
অবসর নেওয়ার পরে কী পরিকল্পনা সুনীলের? কী ভাবে সময় কাটাবেন? সাহেব জানালেন, সন্তান ধ্রুবের সঙ্গে সময় কাটাবেন সুনীল। অধিকাংশ সময় বাইরে থাকার কারণে বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেতেন না ‘ক্যাপ্টেন’। কিছু দিন আগে পুত্র ধ্রুবের অন্নপ্রাশনে পারিবারিক জমায়েতে দেখা মেলে তাঁর।
সাহেবের মতে, সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুনীল। অভিনেতা স্মরণ করিয়ে দিলেন, “ক্লাব ফুটবল খেলবে সুনীল। এমন তো নয় খেলার মাঠে তাকে আর দেখা যাবে না।” তবে জাতীয় দলে যে শূন্যতার সৃষ্টি হল, সে কারণে মন ভারাক্রান্ত হচ্ছে অভিনেতার। “নতুন সুনীল ছেত্রী তৈরি করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা, পরিকাঠামো ও পরিশ্রম,” দৃঢ়তার সুর অভিনেতার কণ্ঠে।
শরীরচর্চা নিয়ে বরাবরই সচেতন সুনীল। এই বিষয়ে পরিবারের ভাইবোনেরা সুনীলকে অনুসরণ করেন। কখনও আবার জিমে কে কতটা পরিশ্রম করলেন, তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে সাহেব বললেন, “প্রতি দিন সকাল ছ’টায় ফ্যামিলি হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে শরীরচর্চার আপডেট চলে আসে।”
ফুটবল জীবনের প্রথম চার বছর সুনীল খেলেছেন মোহনবাগানে। ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন দু’বছর। এই শহরের জামাই তিনি। সেই কলকাতাতেই দেশের জার্সি গায়ে জীবনের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন সুনীল ছেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy