(বাঁ দিকে) সুনীল ছেত্রী। সাহেব ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে সুনীল ছেত্রীর বিদায়ী ম্যাচ। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তিনি। শ্যালক সাহেব ভট্টাচার্যেরও তাই শুটিং শেষ করার তাড়া। ধারাবাহিকের শুটিং শেষ হলেই সপরিবার ছুটবেন যুবভারতীতে। তার আগে কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
“মাঠে বসে বাবার খেলা (সুব্রত ভট্টাচার্য) দেখতে পারিনি আমরা। জাতীয় দলের হয়ে সুনীলের বিদায়ী ম্যাচের সাক্ষী হতে চাই। একটা হাতছাড়া হয়েছে, এটা আর মিস্ করা চলবে না”, বললেন অভিনেতা।
অসুস্থতার কারণে মাঠে যেতে পারবেন না সুব্রত ভট্টাচার্য। বাড়ি বসেই টেলিভিশনে খেলা দেখবেন তিনি। দল বেঁধে খেলা দেখতে যাচ্ছেন সাহেব। পরিবার ও বন্ধুরা রয়েছেন, তবে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির কোনও বন্ধু থাকছেন না, জানালেন তিনি।
অন্য দিকে, সুনীল ছেত্রীর প্রস্তুতি তুঙ্গে। হোটেলে সতীর্থদের সঙ্গে রয়েছেন, কিন্তু সময় পেলেই চলে যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়িতে। খাওয়াদাওয়া সারছেন সেখানেই। সাহেব বললেন, “সুনীল যে হেতু অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে, তাই অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে এখনকার দিনগুলো এবং পরবর্তী পর্ব নিয়ে। তবে বাইরে থেকে শান্ত, স্থির হলেও ভিতরে ঝড় চলছে অবশ্যই। বিদায়ী ম্যাচ বলে কথা! ও অনুভূতি প্রকাশ করছে না।”
সুনীলের স্ত্রী সোনম এক দিকে আনন্দিত, আবার ম্যাচ নিয়ে চাপেও রয়েছেন। কলকাতা শহর সুনীল-জ্বরে আক্রান্ত। সাহেব জানালেন, মাঠের পরিবেশ কী রকম হবে, তা আগে থেকে অনুমান করা যাচ্ছে না। উন্মাদনা, আবেগ তো থাকবেই। বাবার শেষ ম্যাচের সাক্ষী থাকবে ছোট্ট ধ্রুব। “আমি নিশ্চিত দু’-চারটে রুমাল নিয়ে যেতে হবে আমাকে। পরিবারের কয়েক জন চোখের জল ফেলবেই”, বললেন সাহেব।
বিদায়ী ম্যাচের পরে সুনীল সতীর্থদের সঙ্গে সময় কাটাবেন, না কি পরিবারের সঙ্গে? প্রশ্নের জবাবে সাহেব বললেন, “সতীর্থদের সঙ্গে পরে সময় কাটাবে অবশ্যই, তবে আপাতত যে হেতু কলকাতায় রয়েছে ও, আজ রাত্রে পরিবারের সঙ্গেই থাকবে সুনীল। আমাদের পারিবারিক জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে।”
শুধু সুনীলের জীবনেই নয়, সাহেবের কাছেও আজকের দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাঁর কাছে এই ঘটনা “জীবনের বড় ঘটনা।” ভগ্নিপতিকে নিয়ে বললেন, “অবসর জীবনে ওর অভ্যস্ত হতে কয়েকটা দিন লাগবে হয়তো। ১৯ বছরের সফর শেষ। ম্যাচ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি আমরা।” অবসর যাপনের কী পরিকল্পনা সুনীলের? সাহেব বললেন, “আপাতত বিদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই সুনীলের। এই মুহূর্তে শুধুই ম্যাচের অপেক্ষা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy