পরিচালক মহেশ ভট্টের সঙ্গে যিশু।
‘‘আপনারা মহেশ ভট্ট এবং বাকিদের কারণে যখন ছবিটা বয়কট করবেন ভাবছেন, তখন আপনার ঘরের ছেলেটা কতটা অবসাদে চলে যাচ্ছে তার খবর রাখছেন তো?’’ ‘সড়ক ২’-এর ট্রেলার থেকে দর্শক মুখ ফেরাতেই যিশু সেনগুপ্তের সমর্থনে সোশ্যালে সরব বাংলার আরেক অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে নেপো-কিডরা কাঠগড়ায়। কর্ণ জোহরের চ্যাট শোয়ে সুশান্তকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার খেসারত দিচ্ছেন আলিয়া ভট্ট। যে ছবি ঘিরে উৎসাহের অন্ত ছিল না, ট্রেলার মুক্তির অনেক আগে থেকেই টুইটারে ট্রেন্ডিং #বয়কটসড়কটু! কার্যক্ষেত্রেও সেটা-ই হল।
ছবিতে তারকার মেলা। আলিয়া ভট্ট, আদিত্য রায় কপূর, সঞ্জয় দত্ত, পূজা ভট্ট এবং বাংলার যিশু সেনগুপ্ত। নেটাগরিকদের রোষের তির যদিও আলিয়া আর প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কপূরের ছোট ভাই আদিত্যের দিকে। কেন? আদিত্যের কেরিয়ারে হিটের চেয়ে ফ্লপ বেশি। তবু আদিত্যের হাতে ছবির অভাব নেই!
সুশান্ত মামলায় মহেশের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়ানোও এই নেগেটিভ প্রচারের একটি বড় কারণ।
মাঝখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা। যে ছবি হতে চলেছিল যিশুর বলিউড যাত্রার টার্নিং পয়েন্ট তার সাফল্য এখন বিশ বাঁও জলে। যিশু ভেঙে পড়তেই পারেন। কিন্তু সেদিকে নজর দিচ্ছে কে?
তাই সোশ্যালে দীর্ঘ পোস্ট রাহুলের। আরও একবার দায়িত্ব নিয়ে যিশুর স্ট্রাগল মনে করিয়ে দিলেন সাধারণ মানুষকে, ‘‘ব্যর্থতার চোরাগলি থেকে সাফল্যের রাজপথে এক বাঙালির যাত্রা: যিশু সেনগুপ্ত, নামটা জানেন নিশ্চয়ই! জানবেন না কেন?সেই মহাপ্রভু থেকে দেখে আসছেন,কম দিন তো নয়....এই নেপোটিজম এর পৃথিবীতে স্বীকার করে রাখা ভাল ভদ্রলোকের বাবা উজ্জ্বল সেনগুপ্ত মঞ্চের কিংবদন্তি হলেও ষ্টুডিও পাড়ায় নক্ষত্র ছিলেন না কোনোমতেই ...কাজেই রাস্তাটা এত সহজ ছিল না...আপনাদের সামনে কি আর বলব? আপনারা তো সবটাই দেখেছেন...মহাপ্রভুর উত্তুঙ্গ সাফল্যও ফিল্মের দরজা খোলেনি...বড়োজোর জুটেছে ইটিভি তে শুধু তোমারই জন্য, টেলিফিল্মের এর পাসপোর্ট...বড়ো পর্দায় জুটেছে নায়কের ভাই, বন্ধুর চরিত্র ...আর দ্বিতীয়,তৃতীয় শ্রেণির কমার্শিয়াল ছবি, যা বাকিরা করতে রাজি হত না, তারপর পারফরম্যান্সের সততা দেখেই হোক বা মুখের সারল্য দেখেই হোক গৌতম ঘোষের আবার অরণ্যের পথ বেয়ে এলেন ঋতুদা ....শুরু হল এক নতুন পথ চলা...যাই হোক চর্বিতচর্বন কেনই বা করছি ...অভিনেতার সাফল্য বলুন বা ব্যর্থতা বলুন সবটাই আপনাদের সামনে খোলা খাতার মতো...আপনারা সবটাই জানেন, তাহলে এতো কথা কেন?আসলে কী জানেন তো?আড়াই দশকের লড়াই করে মুম্বইতে যে জায়গাটা করেছেন বা করতে চাইছেন তার একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় হচ্ছে সড়ক-২...’’
রাহুলের এরপরেই অনুরোধ, ‘‘যিশু সেনগুপ্তের আড়াই দশকের স্ট্রাগল আপনাদের বয়কটের নদীতে ভেসে যাচ্ছে না তো? না, যিশুদা কোনও খারাপ স্টেপ নেবে এই ভয় নেই...কারণ যিশুদার পিছনে একটা সলিড ফ্যামিলি সাপোর্ট আছে ...কিন্তু আড়াই দশক পর এই ব্যবহার নিজের ভাষার লোকেদের কাছে প্রাপ্য কি? আপনিও তো বাঙালি, আপনিও তো দর্শক ...ভেবে দেখুন না!’’ রাহুলের এই আন্তরিক পোস্ট ইনস্টায় শেয়ার করেছেন যিশু-র স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত।
তবে ট্রেলারে দর্শকের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় বিচলিত নন মহেশ কন্যা পূজা ভট্ট। তাঁর টুইট, ‘‘লাভারস আর হেটারস তো একই মুদ্রার দুই পিঠ। দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞতা এই যে, তাঁরা সময় বার করে এই ট্রেলার ট্রেন্ডিং করে তুলেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy