Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Rupam Islam

Rupam Islam: আমি সব পারি, নিন্দকরাও ঠিক বশ হবেন আমার গানে: রূপম

রূপমের চ্যালেঞ্জ, তিনি তাঁর তাবড় শত্রুদের পরম আত্মীয় বানাতে না পারলে নাম বদলে ফেলবেন

রূপম ইসলাম।

রূপম ইসলাম। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:০০
Share: Save:

রূপম ইসলাম কী না পারেন! এই কথা গর্বের সঙ্গে বলেন তাঁর অনুরাগীরা। আর শিল্পীকে হেয় করতে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হেসে বলেন তাঁর নিন্দকেরাও। শিল্পী নিজে কী বলেন? বহু জনের বহু দিনের জমে থাকা এই কৌতূহল অবশেষে প্রকাশ্যে জানুয়ারির প্রথম দিবসে! শনিবার, বছরের প্রথম দিনে আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানাকথা’য় এসেছিলেন রূপম। সেই আড্ডাতেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আসলে ঠিক কেমন।

নিজের কথা বলতে গিয়ে গায়ক জানিয়েছেন, একই সঙ্গে তিনি অনেক কিছুই পারেন। রক গানের বদলে বিশুদ্ধ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গান বাঁধতে বললে, সেটাও পারেন। এটি পরীক্ষিত সত্য। এবং তিনি যে পারেন, সেটা তিনি নিজেও জানেন। সেটাও সত্য। সেটাই হয়তো আত্মবিশ্বাসের বর্ম হয়ে ঘিরে থাকে তাঁকে। যা অনেকের চোখে আত্মগরিমা বা শ্লাঘা হয়ে ধরা দেয়। তাঁরা ভাবেন, রূপম অহঙ্কারি, উদ্ধত, রাগী। শিল্পীর মতে, অন্যের এই ভাবনায় তাঁর কিচ্ছু যায়-আসে না। রূপমের কথায়, ‘‘এই ভ্রান্ত ধারণা নিয়েও যদি শ্রোতারা আমার গান শুনতে আসেন, আমার কাজের প্রতি আগ্রহ দেখান, তাঁরা তাঁদের মত বদলে ফেলবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, তাঁরা আমার কাজ নিজের চোখে দেখলে বুঝবেন, আমি যা বলি সেটাই করি। এক চুলও বাড়িয়ে বলি না। বরং আমার চেষ্টাই থাকে নিজেকে একেবারে মাটির কাছাকাছি রাখা।’’

এর পরেই সটান পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন শিল্পী। তাঁর তীব্র ব্যঙ্গ, রূপম ইসলাম আর তাঁর দল ‘ফসিলস’ বাংলা সংস্কৃতির দুনিয়ায় যা অবদান রেখেছে তা নিয়ে বাঙালির তো গর্ব করা উচিত! কিন্তু করে না কেন? উত্তর দিতে গিয়ে একটি ঘটনা জানিয়েছেন নিজেই। বলেছেন, ‘‘আমার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতগুরু শুভাশিস নাথ। একটা সময়ে নিয়মিত গলা সাধতাম তাঁর কাছে। ‘কমল মেঘেদের ওজন’ গানটি তৈরি করে গিটারে শোনানোর পরে তিনি বলেছিলেন, গলা তৈরি হয়নি।’’ তাঁর 'গুরু'র দেখানো পথে দীর্ঘ রেওয়াজের পরে অবশেষে গানটিকে কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন বলে জানান রূপম।

নির্দিষ্ট দিনে গায়কের শিক্ষক তাঁকে বলেন, এ বার তাঁর কণ্ঠ ওই বিশেষ গানের জন্য তৈরি হয়েছে। এবং একটি জায়গায় নিয়েও যান তাঁকে। সেখানে ৪০ জন শ্রোতা বসে। রূপমের গান শুনবেন বলে। কিন্তু মাইক্রোফোনের আওয়াজ পরীক্ষা করতে গিয়ে শিল্পী বুঝতে পারেন সেটি উন্নত মানের নয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর শিক্ষককে জানান, বিনা মাইক্রোফোনেই গাইবেন শ্রোতাদের মাঝে ঘুরে ঘুরে। এবং সে ভাবেই তিনি বিশেষ গানটি ছাড়াও একের পর এক নিজের গান শোনাতে থাকেন। ফলাফল কী হয়েছিল? মন্ত্রমুগ্ধের মতো সবাই শুনেছিলেন তাঁর গান!

আত্মবিশ্বাসী রূপমের দাবি, সে দিন যেমন ৪০ জন শ্রোতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন, আজও তিনি সেটা পারেন। তাঁর গানের ‘নেশা’য় বদলে দিতে পারেন তাঁর নিন্দকদেরও। যাঁরা সব ভুলে শুধুই তাঁর সৃষ্টিতে বুঁদ হয়ে যাবেন। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, তিনি যদি তাঁর তাবড় শত্রুদের পরম আত্মীয় বানাতে না পারেন, তা হলে নিজের নাম বদলে ফেলবেন। তার পরেই খানিক রসিকতায় মেতেছেন গায়ক, ‘‘যাঁরা রক গানের সঙ্গে নেশাকে জড়িয়ে বদনাম করেন, তাঁদের আমি নেশাসক্ত করব আমার গান দিয়ে। নিজে কিন্তু এক ফোঁটাও নেশা করব না!’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rupam Islam music Facebook Live
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy