Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Rupali Ganguly Controversy

‘মাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিল রূপালি’, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ফের গুরুতর অভিযোগ সৎমেয়ে এষার

রূপালির বিরুদ্ধে অভিযোগের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এষা। কারণ, বাবা সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁকে।

Image of Rupali Ganguly and Esha Verma

রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন সৎমেয়ে এষা বর্মা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৪
Share: Save:

সম্প্রতি অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের সৎমেয়ে এষা বর্মার একটি পুরনো পোস্ট শিরোনামে আসে। ২০২০ সালের সেই পোস্টে রূপালির বিরুদ্ধে মায়ের গয়না চুরি, মেরে ফেলার হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগ আনেন এষা। এ বার আরও কিছু বিষয় প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। জানালেন, রূপালির কারণে তিনি ও তাঁর মা কী ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শারীরিক নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ আনলেন বাবা ও সৎমায়ের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এষা বলেন, “আমি খুবই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। হাই স্কুলে কান্নাকাটি করতাম। ওই মহিলা (রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়) অবাঞ্ছিত ভাবে আমাদের জীবনে চলে আসে। আমার মা-বাবার বিয়ে ভেঙে দেয়।” তিনি আরও যোগ করলেন, “মুম্বইয়ে আমার ঠাকুরদা-ঠাকুরমার বাড়িতে মাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিল। ওকে জয়ী হতে দেখছিলাম সেটাই আমার কাছে সব থেকে বড় কষ্টদায়ক ছিল।”

এষা শুধু মাত্র রূপালির দিকে আঙুল তুলেছেন এমন নয়। বাবা অশ্বিন কে বর্মার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। বললেন, “খুব কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবারও ভুল রয়েছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন তিনি।” পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এষা। কারণ, বাবা সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁকে। এষার কথায়, “আমি যখনই এটা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি, বাবা আমাকে চুপ করিয়ে দিতেন। বাবার সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ, ভালবাসার সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আমার জীবনের অংশ নন। আমার মনে হয় না উনি আমার বিয়েতেও আসবেন!”

এষার বর্তমান বয়স ২৬ বছর। থাকেন নিউ জার্সিতে। তাঁর কথায়, “সারা জীবন ধরে আমি কষ্ট সহ্য করে গিয়েছি। আমি আর মা নিজেরা উপার্জন করে জীবন অতিবাহিত করেছি।” বাবার প্রতি আরও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, “কেন আমি এমন একটি মানুষের কথা শুনব, যিনি কখনও আমাদের পাশে দাঁড়াননি।” এষা আরও বলেন, “বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন! আমি বা আমার মায়ের জন্য কখনও পাশে দাঁড়াননি। সর্ব সমক্ষে কখনও ক্ষমা চাননি আমার কাছে। আমাকে বা আমার বোনকে স্বীকৃতি দেননি। সব সময় ওঁদের ছেলে গুরুত্ব পেয়েছেন।” ১৯৯৭ সালে এষার মা-বাবা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE