Advertisement
E-Paper

আমার জীবনেও এক জন স্পেশাল আছে: রুবেল

‘ভানুমতির খেল’। নায়ক মেঘরাজ সরকার। অভিনেতা রুবেল দাস। স্টুডিওতে কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুটের ফাঁকে শুরু হল আড্ডা।‘ভানুমতির খেল’। নায়ক মেঘরাজ সরকার। অভিনেতা রুবেল দাস। স্টুডিওতে কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুটের ফাঁকে শুরু হল আড্ডা।

রুবেল দাস।

রুবেল দাস।

মৌসুমী বিলকিস

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ১৭:৪২
Share
Save

মেঘরাজ সরকার এখন কী করছেন?

এখন ছ’বছর পরের ঘটনা দেখানো হচ্ছে, মানে একটা অ্যাক্সিডেন্টে ভানুমতির অন্তর্ধানের পরের ঘটনা। আগের মেঘরাজের থেকে ছ’বছর পরের মেঘরাজ অনেকটাই আলাদা। আগের মেঘরাজ নিজের মতো করে থাকতে ভালবাসত। এক সময় বাড়ির সবার অমতে ভানুমতিকে বিয়ে করেছিল। মেঘরাজের জীবন থেকে ভানুমতি চলে যাওয়ার পর মেঘরাজ ম্যাজিক থেকে পুরোপুরি ডিটাচড, যেটা ভাবাই যায় না। সে বিজনেস টাইকুন। কিন্তু সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। মেঘরাজ বিশ্বাস করে তার স্ত্রী ভানুমতি বেঁচে আছে। কিন্তু পরিবারের কাউকে বিশ্বাস করাতে পারে না। এর মধ্যে এক বাচ্চা মেয়ে ভেলকি আসে তাঁর জীবনে। ভানুমতিহীন জীবন থেকে যে হাসিটুকু চলে গিয়েছিল সেটা ভেলকির মাধ্যমে সে ফেরত পায়। ভেলকিই এখন তার বেঁচে থাকার প্রেরণা।

কপালে ব্যান্ডেজ কেন?

যাঁরা ধারাবাহিক দেখেন তাঁরা অলরেডি জানেন, মোহিনী সরকার ভেলকিকে কিডন্যাপ করায়...তো...এক দিন ভেলকিকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে জানতে পারি, ভেলকি এবং অনেকগুলো বাচ্চা কিডন্যাপড হয়েছে। কিডন্যাপারের সঙ্গে মেঘরাজের একটা ফাইট সিকোয়েন্স ছিল। বাচ্চাগুলোকে সে উদ্ধার করে। কিন্তু কিডন্যাপার মেঘরাজের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। তার পর থেকে এই ব্যান্ডেজ।

আরও পড়ুন, নিজের চেহারার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন বিদ্যা!

আপনি নাকি ভাল মিমিক্রি করতে পারেন? পুরো ইউনিট সদস্যদের নকল করেন?

(সলজ্জ হাসি)...ওই একটুখানি আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে থাকার জন্য...হ্যাঁ, মিমিক্রি করার একটা স্বভাব আছে আমার...এই আর কি!

কাকে সব থেকে ইন্টারেস্টিং লাগে?

ডিরেক্টরকে (অয়ন সেনগুপ্ত)। বিষয়টা হল...ওঁর স্পন্ডিলাইটিসের প্রবলেম আছে...বলতে নেই, শারীরিক সমস্যা...সেটাকে একটুখানি কপি করি... হয়তো করা উচিত না। আর্ট ডিপার্টমেন্টের কয়েক জন আছে...তাঁদেরও নকল করি।’

এই চরিত্র করলেন কেন?

‘ডান্স বাংলা ডান্স’ থেকে জি-এর সঙ্গে আমার অ্যাসোসিয়েশন। ওরা আমাকে তিন/চারটে চরিত্র অফার করেছিল। তার মধ্যে মেঘরাজের চরিত্র বেছে নিই। কারণ এই চরিত্রে অনেক শেডস রয়েছে যেটা আমার ভালো লেগেছিল। সে ম্যাজিশিয়ান। আমার মজা লেগেছিল যে আমি ম্যাজিক শিখতে পারবো। ম্যাজিক নিয়ে এর আগে বাংলায় মেগা সিরিয়াল হয়নি।


‘ভানুমতির খেল’-এর দৃশ্য।

টেলিভিশনে প্রথমেই নায়কের ভূমিকায়...

ভয় পাইনি। তার আগেই আমি ফিল্মে কাজ করে ফেলেছি। ২০১৬-তে পীযূষ সাহার পরিচালনায় ‘বেপরোয়া’ ফিল্মে কেন্দ্রীয় চরিত্র করেছিলাম। সামহাউ ইট ডিড নট ওয়ার্ক সো ওয়েল। কিন্তু আমি অ্যাপ্রিসিয়েটেড হয়েছিলাম। তার পর একই পরিচালকের ‘তুই আমার রানি’ করি। তো ছোট্ট করে হলেও অ্যাজ আ হিরো কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

অভিনয়ে আসবেন প্রথম থেকেই ঠিক ছিল?

অ্যাবসোলিউটলি নট। আমি ডান্সার ছিলাম। ২০০৭-’০৮-এ ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ডান্সার হিসেবে এক্সপ্লোর করার প্ল্যানিং ছিল। সে জন্য মুম্বইতে শমক দাভার-এর ডান্স ইনস্টিটিউশনে যাই। আই গট সাম ট্রেনিং ফ্রম দেয়ার। মিনহোয়াইল আমার বাবা এক্সপায়ার করে। ফ্যামিলির দায়িত্ব তখন আমার ওপর। এ দিকে আমার কাছে কিছু অপশন ছিল না। আমি নরম্যাল গ্রাজুয়েট। তো জানতাম আমাকে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করতে হবে। কিন্তু কোরিওগ্রাফার হিসেবে ভাল ছিলাম না। আমি বাজে টিচার। শেখাতে পারি না। শর্ট টেম্পারড হয়ে যাই। তখন অনেকে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। তার পর গৌতম মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসি, অভিনয় শিখি। অভিনয়কে ভালবাসতে শিখি। এ ভাবেই...

আরও পড়ুন, ‘বেশ করেছে সংসদের সামনে ছবি তুলেছে’, মিমি-নুসরতকে সমর্থন স্বস্তিকার

সিঙ্গল নাকি...

আমি সিঙ্গল, রেডি টু বি মিঙ্গল।

প্রেম প্রস্তাব...

আসেনি। আমিই প্রস্তাব দিয়ে আসছি ছোটবেলা থেকে (হাসি)। আমি একটু এ রকমই।

নায়ক হওয়ার পর?

না, করা হয়নি। অনেককেই ভাল লাগে। কিন্তু প্রেম জাগেনি কাউকে দেখে। এই মুহূর্তে আমি সিঙ্গল হলেও এক জন তো স্পেশাল থাকে লাইফে...সে রকম এক জন আছে (সলজ্জ হাসি)।

ইন্ডাস্ট্রির?

না, শি ইজ আউট অব ইন্ডাস্ট্রি।

(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

TV Celebrities Tollywood

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।