রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য। সংগৃহীত চিত্র।
টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, প্রেমিক বদলে ফেলেছেন রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য। আগে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তের সঙ্গে তাঁর নাম উচ্চারিত হত। খবর, তিনি আসলে নাকি রণজয় বিষ্ণুর প্রাক্তন প্রেমিকা! সত্যিই এ রকম কিছু ঘটেছে? জানতে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে।
অভিনেত্রী জানালেন, ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে তিনি নতুন সদস্য। টুইস্ট আসতে চলেছে নতুন পর্বে। পর্দায় তিনি ধারাবাহিকের নায়ক রণজয় ওরফে ‘অনিকেত’-এর প্রাক্তন প্রেমিকা। সে খবর ছড়াতেই টেলিপাড়ায় চর্চা শুরু। তাঁকে নায়কের বাস্তবের প্রেমিকা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে! বাস্তবে না হোক, পর্দায় তিনি নায়ক-নায়িকা অনিকেত-শ্যামলীর মাঝখানে? এ বারেও তাঁর হাসিমাখা জবাব, “মাঝখানে আর এলাম কোথায়! চ্যানেল তো দু’জনের এক পাশে আমার ছবি দিয়েছে।” এই ছবি দেখে কিন্তু রোশনির অনুরাগীদের মুখে হাসি ফুটেছে। ধারাবাহিকে ‘অহনা’ হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে।
ধারাবাহিকের নায়িকা ‘শ্যামলী’ ওরফে শ্বেতা ভট্টাচার্যের জীবন দুর্বিষহ করতে চলে এলেন তো? যদিও রোশনি নিজেও জানেন না, কতটা দুষ্টুমি তাঁর জন্য বরাদ্দ করেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সেই জায়গা থেকে তাঁর অনুমান, চরিত্রটি সম্ভবত ধূসর। রাজ চক্রবর্তীর ‘ফেলনা’ ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার পর থেকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ইদানীং, খলনায়িকার চরিত্রেও। আর নায়িকা নন কেন? হাসি থেমে গলা গম্ভীর। সাফ জবাব, ‘‘নেপথ্যে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এক, আমি বসে থাকতে রাজি নই। বহু দিন চর্চায় না থাকলে অভিনয়ে মরচে পড়ে যায়। দুই, অভিনয়ে মরচে পড়া মানে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরা। তখন নায়িকার চরিত্র দিলেও অভিনয় করতে পারব না। তিন, উপার্জনের কথাও মাথায় রাখতে হয়। ছোট পর্দায় উপার্জন মোটামুটি নিয়মিত।’’ আরও যুক্তি, অভিনীত চরিত্রগুলোই তাঁর জীবনের পুঁজি। যা দেখে যে কোনও পরিচালক বুঝতে পারবেন, সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করতে পারেন তিনি।
একই ভাবে ধূসর বা খল চরিত্রে অভিনয় করতে ভালবাসেন রোশনি! কেন? ফের হাসি, ‘‘সমাজমাধ্যমে কী মজার মজার মন্তব্য পড়া যায়! আগের একটি ধারাবাহিকে আমার চরিত্রের নাম ‘কমলিনী’। লোকে রেগেমেগে তাকে লিখে দিল ‘কালনাগিনী’! ওটা দেখে বুঝলাম, আমি ঠিক দিকে এগোচ্ছি। অভিনয় ঠিক হচ্ছে।’’ সহ-অভিনেতারা ছোট পর্দা ছাপিয়ে হয় সিরিজ়ে নয় বড় পর্দায়...! প্রশ্ন শেষের আগেই উত্তর হাজির, ‘‘ওদের দেখে সত্যিই গর্ব হয়।’’ একটু থেমে যোগ করলেন, “সব কিছু সময়ের হাতে ছাড়তে হয়। তবেই নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ফল মিলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy