আফগানিস্তানের সাধারণদের পাশে দাঁড়ালেন ঋতুপর্ণা
নেটমাধ্যমের সমস্ত ডিসপ্লে পিকচার বদলে দিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অন্ধকার যুগ আফগানিস্তানে। তারই কালো ছায়া ঋতুপর্ণার ডিপি জুড়ে। সেখানে সাদা অক্ষরে আন্তরিক আকুতি, ‘আফগানিস্তানকে বাঁচান’।
সে দেশের নারী, শিশুদের কাছে তিনি নিজে পৌঁছতে পারছেন না। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলার সময় এই আক্ষেপ ঝরে পড়ল ঋতুপর্ণার প্রতি কথায়। বললেন, ‘‘সভ্যতার ইতিহাসে ফের কালো অধ্যায়। নারী, শিশু-সহ আফগানিস্তানের গোটা সমাজের অস্তিত্ব বিপন্ন। জানি না এর শেষ কোথায়! কবে, কীভাবে এই কলঙ্কিত অধ্যায় থেকে সে দেশ মুক্তি পাবে।’’ অভিনেত্রীর দাবি, গোটা বিশ্ব এক জোট হলে তবেই আফগানবাসীদের হারানো, স্বাধীনতা ফেরানো সম্ভব।
Traumatised and devastated!!! Dont know the language of protest here...Helpless in the hands of these psychopaths!!! World politics..!? UN? SECURITY SERVICES ? BORDER MANAGEMENTS ALL SEEMED TO HAVE FAILED....We have gone back to the pre historic era...
— Rituparna Sengupta (@RituparnaSpeaks) August 18, 2021
গত এক সপ্তাহ ধরে দেখা যাচ্ছে, সন্তান যাতে জঙ্গিদের হাতে না পড়ে তার জন্য তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন আফগান বাবা-মা। এই দৃশ্য দেখে ঋতুপর্ণা আরও অসহায় বোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নারী সমাজ নতুন করে ফের বিপন্ন। কোথাও কোনও আশার আলো চোখে পড়ছে না। আবার ১০০ বছর পিছিয়ে গেলাম আমরা। আমাদের প্রতিবাদ কি ওঁদের কানে পৌঁছচ্ছে?’’
we are ruled by the barbarians....our life is in danger!! Womanhood is in utter danger and threat!!#saveafganistan #womenlivesmatter #savewomanhood
— Rituparna Sengupta (@RituparnaSpeaks) August 18, 2021
একই সঙ্গে ঋতুপর্ণার খেদ, সবাই সারাক্ষণ বিশ্বায়ন, আধুনিকীকরণ নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। আফগানিস্তানে যা হচ্ছে, হতে চলেছে, সেটা কি ওই ভাবনার নমুনা? একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন নিজের দেশকেও। বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তান থেকে ভারত খুব দূরে নয়। সাবধান না হলে তালিবানি শাসনের প্রভাব পড়তে পারে আমাদের দেশেও। প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে।’’ এই ভয় থেকেই ‘পারমিতার একদিন’-এর ‘পারমিতা’ প্রতি মুহূর্তে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন।
সেই অনুভূতি থেকেই ঈশ্বরের কাছে ঋতুপর্ণার আন্তরিক কামনা, শান্তি ফিরুক আফগানিস্তানে। মানব সভ্যতা রক্ষা পাক। আবার স্বাধীন দেশের নাগরিক হোন প্রতিটি আফগানবাসী। তাঁদের ফুসফুস যেন আবার ভরে ওঠে খোলা হাওয়ায়। যে হাওয়ায় বারুদের গন্ধ নেই। যে হাওয়ায় মৃতদেহ থেকে চুঁইয়ে পড়া রক্তের আঁশটে গন্ধ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy