Rishi Kapoor once face depression after failure of his movie KARZ dgtl
এই ফিল্ম ফ্লপ হওয়ায় অবসাদে ডুবে যান ঋষি, ব্যর্থতার জন্য দোষ দিতেন স্ত্রী নিতুকে
ঋষি কপূর, কপুর পরিবারে অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ৮০’র দশকের যুবতীদের ঘুম কেড়ে নেওয়া সুদর্শন এই স্টারকিডের জীবনেও এসেছে চরম হতাশা। তা এতটাই মারাত্মক ছিল যে, এক সময় বলিউডকে প্রায় বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। কেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ০৯:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
ঋষি কপূর, কপুর পরিবারে অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ৮০’র দশকের যুবতীদের ঘুম কেড়ে নেওয়া সুদর্শন এই স্টারকিডের জীবনেও এসেছে চরম হতাশা। তা এতটাই মারাত্মক ছিল যে, এক সময় বলিউডকে প্রায় বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। কেন?
০২১৬
‘ববি’ ছবির মধ্যে দিয়েই স্ক্রিন-অভিষেক হয় ঋষির। প্রথম ছবিই সুপারহিট। ছবির পরিচালক ছিলেন বাবা রাজ কপূর। বিপরীতে ছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া। ঋষির ‘চকোলেট বয়’ লুক মনে ধরে সকলের।
০৩১৬
যদিও ঋষি পরে জানিয়েছিলেন, ওই ছবিতে আদপে তাঁর অভিনয় করার কথাই ছিল না। ঠিক ছিল রাজেশ খন্নাকে নেওয়া হবে। কিন্তু বাজেটে না কুলোনোয় সেই ছবিতে নেওয়া হয় ‘ঘরের ছেলে’ ঋষি কপূরকে।
০৪১৬
সে যাই হোক, এর পর একে একে ‘রফু চক্কর’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘হাম কিসিসে কম নহি’ সহ বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করে অচিরেই বলিপাড়ায় নিজের জায়গা পাকা করে নেন ঋষি।
০৫১৬
সাল ১৯৮০। ঋষি কপূর বিয়ে করেন তাঁর ‘কভি কভি’ এবং ‘দুসরা আদমি’র কো-স্টার নিতু সিংহকে।
০৬১৬
ওই বছরই মুক্তি পায় সুভাষ ঘাই অভিনীত ছবি ‘কর্জ’। ছবির পরিচালনায় ছিলেন সুভাষ ঘাই এবং টিনা মুনিম। ছিলেন সিমি আগরওয়ালও। মূলত পুনর্জন্মের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য-মাখা ছবি ছিল ওটি। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল।
০৭১৬
ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন ঋষি। কিন্তু এ কী! মুক্তির পর দেখা গেল বক্স অফিসে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়ল ছবিটি।
০৮১৬
তাঁর জায়গায় সমস্ত নাম কুড়িয়ে নিয়ে গেল ওই ছবি মুক্তির ঠিক এক সপ্তাহ আগে মুক্তিপ্রাপ্ত আর এক ছবি ‘কুরবান’। ওই ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ফিরোজ খান। বিনোদ খন্না এবং জিনাত আমান। পরিচালনাতেও ফিরোজ খান নিজেই।
০৯১৬
হতাশায় ডুবে যান ঋষি। লোকজন বলাবলি শুরু করে বিয়ে করে নিয়েছে বলেই ঋষির সমস্ত জনপ্রিয়তা ক্রমশ উধাও হয়ে যাচ্ছে। ঋষিরও সব রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রী নিতুর উপর। শুরু হয় সাংসারিক অশান্তিও। ঋষি ঠিক করেন বলিউড ছেড়ে দেবেন তিনি।
১০১৬
অত্যধিক মদ্যপান করতে শুরু করেন তিনি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই পারতেন না কিছুতেই। এর ফলে তাঁর হাতে থাকা বেশ কিছু ছবি হোল্ডে রাখতে বাধ্য হন পরিচালক-প্রযোজকরা।
১১১৬
এমনই এক ছবি ছিল ‘নসীব’। ঋষি ছাড়াও সেই ছবিতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চচন, হেমা মালিনী, শত্রুঘ্ন সিনহা প্রমুখ। মাত্র এক দিনের শুটিং বাকি ছিল সেই ছবির । কিন্তু ঋষির অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তিনি তাও করতে পারছিলেন না।
১২১৬
ওই ছবির পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের অনুরোধে কয়েক ঘণ্টার জন্য শুটে গিয়েও ফিরে আসতে হয় তাঁকে। তাঁর আর এক হোল্ডে থাকা ছবির পরিচালক নাসির হুসেন ভাবেন, ঋষি নিশ্চয়ই অর্থকষ্টে ভুগছেন।
১৩১৬
তাঁর বাড়িতে এক লক্ষ টাকার একটি চেক পাঠিয়ে নাসির বার্তা দেন, যত খুশি সময় লাগে লাগুক। ঋষি ভাল অনুভব করলেই যেন শুটে আসেন।
১৪১৬
চিন্তায় পড়ে যান বাবা রাজ কপূর। ছেলেকে তিনি শহর থেকে দূরে প্রায় তিন মাসের জন্য এক ফার্মহাউজে পাঠিয়ে দেন। ছেলেকে অবসাদ থেকে বের করে নিয়ে আসার সমস্ত রকম উপায় খুঁজে বার করতে থাকেন তিনি।
১৫১৬
অমিতাভ বচ্চনও তাঁকে জানান, মানসিক অবসাদের শিকার তিনিও হয়েছেন। ঋষিও বুঝতে পারেন, ডিপ্রেশন স্বাভাবিক। দরকার শুধু সঠিক পরিচর্যা এবং সঠিক মানুষের সাহায্য।