সুশান্ত সিংহ রাজপুত ও রিয়া চক্রবর্তী।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) এক হাত নিলেন রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে। তাঁর মতে, রিয়াকে একটা ফালতু মামলার জন্য এনসিবি এক মাসের উপর কারাবন্দি করে রেখেছিল।
স্পষ্ট কথায় মানেশিন্ডে জানালেন, ‘‘সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই পুলিশ দু’মাস সময় নিয়েছিল বলে তাদের কাছ থেকে দায়ভার ছিনিয়ে নিয়ে সিবিআইয়ের উপর বর্তানো হয়েছিল। জুলাই মাসে পটনায় রিয়া ও রিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা হয়ে সিবিআই এখনও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে পারল না! সিবিআই, ইডি, মুম্বই পুলিশ এনসিবি, এমনকি পটনা পুলিশ, সকলে মিলে রিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল। তাতেও এখনও কোনও রিপোর্টের কথা জানতে পারল না দেশবাসী। কোনও প্রমাণ দিতে পারল না ওরা। উল্টে ফালতু মামলায় ফাঁসাল রিয়া ও তাঁর পরিবারকে। আমি চাই, এ বার সেই দুঃখজনক ঘটনার পরিণতি জানতে পারুক সকলে। সত্যমেব জয়তে।”
সুশান্ত সিংহ রাজপুত মারা গিয়েছেন ছ’মাস হয়ে গেল। এখনও সিবিআইয়ের কোনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। অস্থির সুশান্তের পরিবার ও অনুরাগীরা। সকলের কথা মাথায় রেখেই রবিবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ‘‘গোটা দেশ সিবিআইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস হতে চলল সুশান্তের তদন্ত মামলার দায়ভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। এ বার তদন্তের ফলাফল সকলের সামনে রাখা উচিত। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনও ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চাইছে সকলে।’’
আরও পড়ুন: উচ্চারণ নিয়ে সমালোচনা শুনতে শুনতে ভেঙে পড়েছিলেন দীপিকা
অনিল দেশমুখের সুরে সুর মেলালেন মানেশিন্ডে। এ ছাড়া তিনি জানালেন, ‘‘একটি ফালতু মামলায় জড়ানো হল রিয়া চক্রবর্তীকে। বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা ও মিডিয়া হেনস্থা করল তাঁকে। গ্রেফতারও করা হল। বম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ না দিলে তাঁকে এক মাস পরেও জামিন দেওয়া হত কিনা সন্দেহ। কিন্তু রিয়া যে সুশান্তের দিদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেটারও কোনও ফলাফল সামনে আসেনি। রিয়ার মতে, ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দিয়ে সুশান্তকে কিছু ওষুধ খেতে বলেছিলেন তাঁরা। বেআইনি ওষুধ ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মিশ্রণের ফলেও সুশান্তের মৃত্যু হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: ক্লিভেজ দেখতে হলে দেখুন, নোংরামি করবেন না: শ্রীলেখা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy