রিয়া চক্রবর্তী
এক দিকে পৃথিবী জুড়ে মহিলা-পুরুষের সমান অধিকারের জন্য লড়াই করছেন নারীরা। অন্য দিকে মহিলাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সদ্য তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তা্নে। দু’দিন হল রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবান। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ। দেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়েছে মহিলাদের জন্য।
পুরুষ-সঙ্গ ছাড়া রাস্তায় বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না মহিলাদের। মোটর রিক্সায় চড়া, পা-খোলা জুতো পরার ‘অপরাধে’-ও মহিলাদের উপর নির্যাতন চলেছে। কন্দহর দখলের পর খবর পাওয়া গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন পরিবারের অবিবাহিত মহিলাদের খোঁজ করে তালিকা তৈরি করছে তালিবান। তার পর প্রথমে পরিবারগুলিকে বলা হচ্ছে অবিবাহিত মহিলাদের তাদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। পরিবার রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই যুবতীদের। ভয়ে বাড়ির গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকছেন যুবতীরা। স্টেফানি গ্লিনস্কি নামে আফগানিস্তানে কর্মরত এক মহিলা সাংবাদিক এক টুইট করে জানিয়েছিলেন, হেরটের দখল নেওয়ার পরই সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। হেরটের সমস্ত অফিস থেকে মহিলাদের বার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে এবং জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের জায়গায় এ বার পুরুষদের নিয়োগ করা হবে।
এমনই সময়ে মুম্বই থেকে সেই মহিলাদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। মহিলাদের এই পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে তাঁর কাছে। নেটমাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত রাজনৈতিক নেতাকে তিনি অনুরোধ করে লিখলেন, ‘দয়া করে সবাই এর প্রতিবাদ করুন।’ রিয়া আফগানিস্তানের অবস্থা দেখে হতভম্ব। তিনি আরও লিখেছেন, ‘এক দিকে পৃথিবীর মহিলারা পুরুষের সমান বেতনের জন্য লড়াই করছেন, অন্য দিকে আফগানিস্তানের মেয়েদের কেনাবেচা চলছে! মহিলারাই এখন বেতনের সমতুল্য হয়ে গিয়েছে সেখানে। নারী এবং সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেখে আমি শোকাহত।’
কাবুলে কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি ডিরেক্টর মেরিয়্যান ও’গ্র্যাডি বলেছিলেন, যেন ২০ বছর আগের সেই অন্ধকার যুগ ফিরে এসেছে । তাঁর দাবি, ‘‘বিগত দুই দশকে আফগানি মহিলাদের মধ্যে যে অগ্রগতি দেখা গিয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। তালিবান আফগানিস্তান দখল নিলেও সেই দিন মনে হয় ফিরে আসবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy