সাল ১৯৭১, ভারত পাকিস্তানের সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে। ঠিক সেই সময়ে এক ভারতীয় গুপ্তচরকে পাঠানো হল পাকিস্তানে। এই প্রেক্ষাপটে ছবি। শিরদাঁড়া টানটান করে বসলাম ছবি দেখতে। কিন্তু ছবি এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই মেরুদণ্ড শিথিল হয়ে ঘুম জড়িয়ে এল চোখে। হ্যাঁ, স্পাই থ্রিলার দেখতে দেখতেও ঘুম আসে। এই ছবিই তার উদাহরণ। ছবিতে ‘ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসি’র কাজ করেছেন জন আব্রাহাম। রোমিও, আকবর, ওয়াল্টারের মতো তিনটি পরিচয় ও তিন রকম লুক পেয়েও তাঁর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। একই রকম নিস্তেজ, অভিব্যক্তিহীন তাঁর অভিনয়। জোর করে গম্ভীর মুখে সারা ছবিতে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন। মনে হয়েছে, স্পাই থ্রিলার বলে তাঁকে কেউ হাসতে বারণ করে দিয়েছে, তার সঙ্গে অভিনয়েও নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না কে জানে!
ছবিতে ভারতীয় গুপ্তচর রোমিও পাকিস্তানে গিয়ে নাম বদলে হয়ে যায় আকবর মালিক। গোপনে পাকিস্তানের তথ্য পাঠাতে থাকে ভারতে। গুপ্তচরের ছবি হিসেবে যা যা প্রয়োজন ছিল, চিত্রনাট্যে তা মজুত। কিন্তু ছবির গতি মন্থর। প্রতিটি দৃশ্যে মিস করছিলাম প্রয়োজনীয় ক্ষিপ্রতা। নায়িকা না থাকলেও অসুবিধে ছিল না। চিত্রনাট্য মন্দ না হলেও পরিচালনাতেই ছবির ভরাডুবি!
তবে প্রাপ্তির খাতায় সব পাতাই সাদা নয়। ছবিতে র’-এর কার্যকলাপ বেশ ডিটেলে দেখানো হয়েছে। তালার মধ্যে নোট গুঁজে দেওয়ার মতো কোড পাস করার দৃশ্যগুলো ভাল লাগে। আর করাচি শহরটাও ছবিতে খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন পরিচালক। সেখানে আছে সিকন্দর খেরের অভিনয়। তাঁর প্রবেশের পরে ছবিতে কিছুটা গতি আসে। জ্যাকি শ্রফকেও বেশ লাগল। আর বহু দিন বাদে পাওয়া গেল সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তির কয়েক ঝলক। কম সময়ের জন্য হলেও তা উস্কে দিল কিছু মধুর স্মৃতি। রইল বাকি ক্লাইম্যাক্স। শেষ টুইস্টের জন্যই তীরে এসে তরী কোনও ক্রমে রক্ষে পেল আর কী!
রোমিও আকবর ওয়াল্টার পরিচালনা: রবি গ্রেওয়াল অভিনয়: জন আব্রাহাম, জ্যাকি শ্রফ, সিকন্দর খের ৪/১০
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy