‘পদ্মাপুরাণ’-এ সাদিয়া আফরিন মাহি অভিনয় করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর ভূমিকায়।
সবাইকে চমকে দিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী সাদিয়া আফরিন মাহি! দু'টি ঘটনা। একটি ঘটনা শ্যুটিংয়ের বেশ কিছুদিন পর। আরেকটি শ্যুটিংয়ের সময়।
‘প্রীতিলতা’ ছবিটির জন্য এই মুহূর্তে আলোচিত তরুণ পরিচালক রাশিদ পলাশ। একে শহিদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবন নিয়ে ছবি, তার উপর নামভূমিকায় পরীমণি। এই রাশিদ পলাশের চলচ্চিত্র ‘পদ্মাপুরাণ’ মুক্তি পেতে চলেছে ৮ অক্টোবর। সাদিয়ার ঘটনা দু'টি এই ছবির সঙ্গেই যুক্ত।
কী আছে এই ছবিতে? পদ্মার পাড়ে বসবাসকারী অল্প উপার্জনের কিছু মানুষ। অভাবগ্রস্ত বলেই তাঁরা অপরাধপ্রবণ এবং মাদকাসক্ত। এখানে মাদক ব্যবসা করেন এক নারী, যিনি অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত। এই ছবিতে আসলে উঠে এসেছে মানুষের ইতিহাস, পদ্মা নদীর ইতিহাস।
‘পদ্মাপুরাণ’-এর অন্যতম প্রধান শিল্পী সাদিয়া আফরিন মাহি। এখানে তিনি অভিনয় করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর ভূমিকায়। এই সিনেমায় তাঁর চরিত্রটি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। পদ্মার বুকে জন্ম নেওয়ায় শিশুটির নামও রাখা হয়েছিল পদ্মা। এদিকে ‘পদ্মাপুরাণ’ যখন মুক্তির পথে, বাস্তবেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া মাহি। তারপরই মাহির একটি সিদ্ধান্তে জীবন ও সিনেমার চিত্রনাট্য যেন একাকার। সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন তিনি অভিনীত চরিত্রের কন্যার নামেই-- পদ্মা!
এই ঘটনায় স্বভাবতই খুশি পরিচালক পলাশ বললেন, ‘‘পদ্মাপুরাণ ছবিটিতে আমাদের সকলের বিশেষ আবেগ মিশে আছে। মাহিও সেই আবেগ থেকেই মেয়ের নাম রেখেছেন পদ্মা।’’
পলাশের মুখেই জানা গেল আরেকটি ঘটনার কথা। সিনেমার জন্য সাদিয়া আফরিন মাহিকে বিসর্জন দিতে হয় মাথার সব চুল। একটি দৃশ্যের প্রয়োজনে যখন তাঁকে নেড়া হতে বলা হয়, প্রথমে রাজি না হলেও পরে পরিচালকের যুক্তি তিনি মেনে নেন। শুটিং সেটে যখন মাহির চুল বিসর্জনের কাজ চলছে তখন তাঁর দু'চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে নীরব জলধারা।
পরিচালক বললেন, ‘‘আমরা সবাই বুঝতে পারছিলাম, তাঁর মনে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের সব কষ্ট, সব আবেগ, সব পরিশ্রম সার্থক হবে যদি দর্শক ছবিটাকে গ্রহণ করেন।’’
মাহি এখনও হাসপাতালে।
‘‘জীবন থেকে শিল্প কত কিছু কেড়ে নেয়, আবার কত উপহারও এনে দেয়, যা স্বপ্নের মতো!’’ শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে এখন হয়তো সে কথাই ভাবছেন শিল্পী সাদিয়া আফরিন মাহি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy