করিনা এবং শহিদ কপূরের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুঞ্জন রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২১ ১৬:৫৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
করিনা এবং শহিদ কপূরের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুঞ্জন রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। দু’জনে যখন কাছাকাছি ছিলেন তখনও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুঞ্জন শোনা যেত।
০২১৬
আবার দু’জনের বিচ্ছেদ হওয়ার পরও পিছু ছাড়েনি তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা। আজও মাঝে মধ্যেই চর্চায় উঠে আসে তাঁদের সম্পর্কের কথা।
০৩১৬
কিন্তু জানেন কি কেন তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল? তাঁদের বিচ্ছেদের পিছনে আসলে কার ষড়যন্ত্র ছিল?
০৪১৬
শহিদ এবং করিনার প্রথম ছবি ‘ফিদা’। ছবিতে করিনাকে নেতিবাচক ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। ছবিতে করিনার বিপরীতে ছিলেন ফরদিন খান।
০৫১৬
এই ছবির শ্যুটিং করা থেকেই শহিদ এবং করিনার মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত। খুব দ্রুত তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে শহিদকে ছাড়া থাকতেই পারতেন না করিনা।
০৬১৬
শহিদ ছিলেন নিরামিষাশি। আর করিনার পরিবারে সবচেয়ে চর্চার বিষয় ছিল খাওয়াদাওয়া। পুরোদস্তুর আমিষ খেতেই পছন্দ করতেন করিনা।
০৭১৬
কিন্তু শহিদের জন্য তিনি জিভের স্বাদও বদলে ফেলেছিলেন। নিরামিষাশি হয়ে গিয়েছিলেন করিনা।
০৮১৬
তার উপর ‘ফিদা’র পর যে সমস্ত ছবির প্রস্তাব আসতে শুরু করে করিনার কাছে সবেতেই তিনি নায়ক হিসাবে শহিদের নাম প্রস্তাব করতে শুরু করেন। একই ভাবে শহিদও তাঁর সমস্ত ছবিতে করিনার নাম নাম প্রস্তাব করতে শুরু করেছিলেন।
০৯১৬
‘ফিদা’-র পর দুজনে একসঙ্গে ‘৩৬ চায়না টাউন’, ‘চুপ চুপ কে’, ‘জব উই মেট’- এ অভিনয় করেন।
১০১৬
শহিদের সঙ্গে করিনার ওঠাবসা পছন্দ ছিল না তাঁর মা ববিতা এবং দিদি করিশ্মার। শহিদ বড় অভিনেতা ছিলেন বটে কিন্তু তাঁর পরিবার করিনার মতো নামজাদা ছিল না।
১১১৬
এই বিষয়টিই মানতে অসুবিধা হচ্ছিল করিনার মা এবং দিদির। করিনাকে তাঁরা দুজনেই অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। মা পরবর্তীকালে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি মেনে নিলেও দিদির সঙ্গে করিনার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।
১২১৬
দিনরাত লাগাতার শহিদের বিরুদ্ধে কথা শুনতে শুনতে করিনার মনেও একটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। এর মধ্যে সইফ আলির সঙ্গে তাঁর ‘ওমকারা’ ছবির শ্যুটিং শুরু হয়।
১৩১৬
সইফের ব্যক্তিত্বে প্রভাবিত হতে শুরু করেন করিনা। অন্য দিকে আবার শহিদের সঙ্গে কখনও অমৃতা রাও, কখনও বিদ্যা বালন, কখনও আবার ছবির নায়িকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় ইন্ডাস্ট্রিতে।
১৪১৬
ক্রমে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে বিচ্ছেদ ঘোষণা করে দেন দু’জনে। ২০১৫ সালে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শাহিদ। দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সুখী জীবন কাটাচ্ছেন শহিদ।
১৫১৬
করিনা এবং সইফের বিয়ে হয় ২০১২ সালে। সম্প্রতি দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন করিনাও। শহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর করিশ্মার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হতে শুরু করে করিনার। দুই বোনে প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটান এখন।
১৬১৬
করিনা-শাহিদের বিচ্ছেদে সবচেয়ে খুশি বোধহয় হয়েছেন দিদি করিশ্মা এবং তাঁদের মা ববিতাই।