সরব টলিউড
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গৃহবধূর ঘটানো কাণ্ডে হইচই পড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাক করে নিজের দু’পাটি জুতো ছুড়ে দিয়ে আমতলার শুভ্রা ঘোড়ুই এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। শুভ্রা-কাণ্ডের কিছু ক্ষণের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় নানাবিধ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
সামনে পুজো, মনে করিয়ে দিয়ে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মনে পড়িয়ে দিলেন বিখ্যাত এক জুতো কোম্পানির অতীতের এক জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাপশন। লিখলেন, ‘পুজোয় চাই নতুন জুতো, কেউ ফ্রিতে পায়।’
তবে কি তিনি এই জুতো ছোড়াকে সমর্থন করছেন? জানতে চেয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় জয়জিতের সঙ্গে। ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এ উত্তর না দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ওঁর মনে হয় খালি পা ছিল। পায়ে যদি কাঁটা ফুটে যায়, তাই পার্থকে বাঁচাতে এই জুতো দিয়েছেন মহিলা।”এর পর জয়জিৎ বলেন, “আমি আমার ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ করেছি। কোনও দলের ছত্রছায়ায় নেই। কারও ভাল লাগতে পারে, আবার কারও খারাপ লাগতে পারে। অনেকের সঙ্গে তর্কও হয়। তবে বাংলার মানুষের কাছে এতটা খারাপ ব্যাপার অভিপ্রেত ছিল না।”
টলিপাড়ায় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে, পরিচিতদের অনেকেও জুতো ছোড়ার মধ্যে বড় অন্যায় কিছু দেখছেন না। প্রযোজক এবং অভিনেতা ভরত কল বললেন, “যদি পার্থবাবু দোষ করে থাকেন, তা হলে আমি বলব ভদ্রমহিলা জুতো ছুড়ে বেশ করেছেন। এটা সাধারণ মানুষের আবেগ। উনি যদি শারীরিক ভাবে আঘাত করতেন, তা হলে অনুচিত হত। উনি বুঝেছেন, এই ভাবেই তিনি প্রতিবাদ জানাতে পারেন।”
একই সঙ্গে বলেন, “আমি যতই এই দলকে (তৃণমূলকে) সাপোর্ট করি না কেন, যেটা অন্যায় সেটা অন্যায়। উনি যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তখন আমি আমার কথা ফিরিয়ে নেব।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক অভিনেতার কথায়, “আমার সঙ্গে পার্থদার কাছের সম্পর্কই ছিল। কিন্তু যা দেখছি তা আশা করিনি। এখনও ভাবতে পারছি না। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আমি নিজে জুতো ছুড়ে মারার পক্ষপাতী নই। কিন্তু এটাও বুঝতে পারছি, এর মধ্যে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে।”
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই নানা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। অনেকের অভিযোগ, বাংলার বর্তমান সিনে-ইন্ডাস্ট্রি শাসকদলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলে। সেই নিরিখে অনেকে কাজ পান, আবার কেউ পান না। এ কথা অবশ্য মানতে নারাজ জয়জিৎ। বলছেন, “এগুলো সম্পূর্ণ রটনা। কারও যোগ্যতা থাকলে সে নিশ্চয়ই কাজ পাবে।”
তাঁর বহু সহকর্মী বিভিন্ন দলে নাম লিখিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার কাণ্ড নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে? অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, “যে লোক রাজনীতি বোঝে তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। যারা এক এক সময় রাজনৈতিক মতাদর্শ বদল করবে তাদের সঙ্গে আমি রাজনৈতিক আলোচনা করতে চাই না। ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে মানুষের রাজনৈতিক আদর্শ তৈরি হয়ে যায়। তার পর যারা রাজনৈতিক মতাদর্শ পাল্টায়, তা আখের গোছানোর জন্য ছাড়া আর কিছু নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy