মহাকুম্ভে তারকা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুরাগীরা তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু অন্য একটি বিষয়ে বিতর্কও হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ধর্মীয় স্থানেও তারকাদের ‘ভিআইপি’ সুবিধা দেওয়া হবে? সেই একই প্রশ্ন আরও এক বার উসকে দিলেন ইয়ো ইয়ো হনী সিংহ।
বর্তমানে পর পর অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত হনী। লখনউ ও দিল্লির পরে তাঁর অনুষ্ঠান রয়েছে ইন্দোরে। ৮ মার্চ অনুষ্ঠানের আগে হনী পৌঁছে যান উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে। সেখানে গিয়ে পুজোও দেন র্যাপার। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নির্বিঘ্নে মন্দিরে প্রবেশ করেন হনী। তার পরে শান্তিতে পুজো দেন। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করেন। তাঁকে একটি উত্তরীয় পরিয়ে দেন পুরোহিতেরা। নিজের গলার হারটিও শোধন করিয়ে নেন হনী। প্রসাদও নেন। সব শেষে গলায় একটি ফুলের মালা পরে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন তিনি। এর পরে মন্দিরের আরও এক জায়গায় হনীকে পুজো করতে দেখা যায়। ভিডিয়োয় হনীকে নতুন রূপে দেখে খুশি অনুরাগীরা। তবে কেউ কেউ আপত্তিও জানিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধু তারকারাই এমন নির্বিঘ্নে পুজো করার সুযোগ পান? ধর্মীয় স্থানেও কেন এমন ভেদাভেদ?
আরও পড়ুন:
এক নিন্দক লিখেছেন, “খুব ভাল বিষয় যে হনী পুজো করছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ কেন এই ভাবে পুজো করার সুযোগ পায় না! সাধারণ মানুষ দেবতার দর্শন পাওয়ার জন্য বোধহয় এক সেকেন্ডও পান না। এ দিকে ‘ভিআইপি’-দের কত সুবিধা দেওয়া হয়!” আর এক জনের কথায়, “তারকারা মন্দিরে গিয়ে ভিডিয়ো করারও সুযোগ পান। আর সাধারণ মানুষ ঠিক করে প্রার্থনাও করতে পারেন না।” হনীর পোশাক নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন এক নিন্দক। এ দিন র্যাপারকে দেখা গিয়ছে কালো রঙের প্যান্ট ও হুডিতে। তাই সেই নিন্দক লিখেছেন, “পশ্চিমী পোশাক পরে মন্দিরে কেন প্রবেশ করেছেন! মহাকাল মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষদের ধুতি পরা উচিত।”