রানি মুখোপাধ্যায়।
কথায় বলে যা চকচক করে তাই যে সব সময় সোনা হবে, এমনটা নয়। ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি, পাপারাৎজির ভিড়, গ্ল্যামারাস দুনিয়ার বাইরে সেলেবদের ব্যক্তিগত জীবন মোটেও সব সময় কুসুমকোমল নয়। নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদেরও। ঠিক যেমনটা পড়তে হয়েছিল রানি মুখোপাধ্যায়কে।
সালটা ১৯৯৬। ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবির হাত ধরে রানির বলি অভিষেক ঘটতে চলেছে। ছবি যে দিন মুক্তি পাবে, সেই দিনই অভিনেত্রীর জীবনে ঘটে অঘটন। ওই দিনই বাবা রাম মুখোপাধ্যায়ের তড়িঘড়ি বাইপাস সার্জারি করাতে হয়। একে প্রথম বলিউড ছবি মুক্তির দিন, অন্যদিকে বাবার অসুস্থতা, সে সময় রানির জীবনে ঝড় যে বেশ ভালভাবেই বয়ে গিয়েছিল, তা আন্দাজ করাই যায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসে রানি বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই বাবা ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যে দিন আমার প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা, সে দিনই বাবার বাইপাস সার্জারি হয়। বাবা চেয়েছিলেন আমার ছবি মুক্তির পরেই অস্ত্রোপচার করাতে। কিন্তু তাঁর অসুস্থতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, বাধ্য হয়েই ওই দিনই তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়।”
আরও পড়ুন-রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে নেহা কক্করকে জোর করে চুমু প্রতিযোগীর!
আরও পড়ুন-তেল মেখে পড়ে গেল সব চুল, ঋত্বিক যখন ‘টেকো’
রানি যোগ করেন, “অপারেশন হওয়ার দু’তিন দিন পর বাবার জ্ঞান আসে। জ্ঞান ফেরার পরই তাঁর প্রথম কথা, সিনেমা কেমন চলছে, দর্শকদের কেমন লেগেছে?”
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি না গিয়ে হুইলচেয়ারে করে মেয়ের প্রথম ছবি দেখতে চলে গিয়েছিলেন রাম মুখোপাধ্যায়। সিনেমা হলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি রাম। শিশুর মতো কেঁদে ফেলেছিলেন। “বাবার সেই প্রতিক্রিয়ার কথা কোনও দিনও ভুলতে পারব না”, বললেন রানি।
‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ বক্স অফিসে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল। রানির অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। এর পর রানিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘বাদল’, ‘মেহেন্দি’, ‘চলতে চলতে’, ‘হাম তুম’ একের পর এক হিট জমা হতে থাকে তাঁর ঝুলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy