রণদীপ হুডা।
সম্পত্তি বিক্রি করে আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করেছেন রণদীপ হুডা। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’। পাশাপাশি, এই ছবিতে তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। ছবির পুঁজি যখন তলানিতে, সেই ঘাটতি মেটাতে তৎপর হন রণদীপ। অভিনেতা জানিয়েছেন, অধিকাংশ শুভাকাঙ্ক্ষীরা যখন এই ঝুঁকি নিতে নিষেধ করেছিলেন, অভিনেতার বাবা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। “আমার হাত-খোলা। তাই প্রথম থেকে বাবা আমার জন্য সঞ্চয় করেছেন। বাবার আশঙ্কা ছিল, মহিলা আর ঘোড়াদের পিছনে টাকা নষ্ট করে ফেলব আমি। তাই আমার হয়ে তিনি দু’টি ফ্ল্যাট কিনে রেখেছিলেন মুম্বইয়ে।”
মহারাষ্ট্রে বক্স অফিসে ভাল ফল করলেও দর্শক বা সমালোচকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিতে পারেনি ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’। অভিনেতা তথা পরিচালক রণদীপের কথায়, “সৌভাগ্যক্রমে, আমরা যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছি এই ছবি থেকে।” তিনি আরও বলেন, “রসিকতা করে বাবাকে বলি, সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়াও। যাতে আমার পরের ছবির জন্য সেগুলো বিক্রি করতে পারি।”
দু’বছর ধরে ছবির শুটিং চলেছে। সেই সময় অন্য কোনও ছবির কাজও নিতে পারেননি রণদীপ। অর্থের অভাবে শুটিংয়ের মধ্যে ছবির কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। রণদীপ তাঁর বাবার কাছে গিয়ে বলেন, “এই ছবিটা করছি। কিন্তু শুটিং প্রায় বন্ধের মুখে। কেউ টাকা দিতে চাইছে না। এখন আমি কী করব?” বাবা রণবীর হুডা সব সময় পাশে ছিলেন, জানালেন অভিনেতা। “বাবা সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের পথ দেখিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়েছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে অভিভাবকেরা হয়তো দু’বার ভাববেন। কিন্তু আমার বাবা বিশেষ কিছু ভাবেননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy