(বাঁ দিকে) রাখি সবন্ত (ডান দিকে) আদিল দুরানি। ছবি: সংগৃহীত।
রাখি সবন্তের জীবনে যেন ঘটনার ঘনঘটা। তাঁর প্রেম থেকে বিয়ে কিংবা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া— সবই ঘটেছে ঝড়ের গতিতে। ততোধিক দ্রুত গতিতে বিয়ে ভেঙেছে রাখির। স্বামীকে হাজতবাস করাতে পিছপা হননি রাখি। জেল থেকে ছাড়া পেতেই রাখিকে শায়েস্তা করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন অভিনেত্রীর স্বামী। প্রকাশ্যে এনেছেন বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। দমে থাকার পাত্রী নন রাখিও। স্বামী মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে তাঁর নগ্ন ভিডিয়ো তৈরি করে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন, অভিযোগ করলেন রাখি। টাকার অঙ্কটা নেহাত কম নয়। বিবাহিত জীবনে তিনি ধর্ষণের শিকারও হয়েছেন বলে ঘোষণা করলেন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে!
চলতি বছর জীবনের নতুন এক পর্ব শুরু করেন রাখি। গত বছর মে মাস নাগাদ দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। পাত্র মাইসুরুর ব্যবসায়ী আদিল খান দুরানি। একটা সময় সারা ক্ষণই রাখির ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতেন আদিল। বিয়ে হয়, স্বামী ইসলাম ধর্মালম্বী বলে নিজেও ইসলাম কবুল করেন রাখি। একটা সময় বোরখা পরতে, রোজা রাখতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু বিয়ের খবর জানাজানি হওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই আগুন রাখির সংসারে। স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে প্রতারণা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন। হাজতবাস হয় আদিলের। ৭ ফেব্রুয়ারি জেলে যান আদিল। গত মাসের ২১ তারিখ জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী। ছাড়া পেতেই রাখির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ সমেত সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির তিনি। একের পর এক অভিযোগ করেছেন রাখির নামে।
সর্বপ্রথম আদিল দাবি করেন, রাখি প্রতারক। শুধু তাই নয়, রাখি নাকি সুবিধের মহিলা নন। তাঁর কথায়, ‘‘রাখি বিপজ্জনক মহিলা। মহিলা কমিশন, নারীসুরক্ষা আইনের ফাঁকতালে যা খুশি সে করতে পারে।’’ রাখি তাঁর নগ্ন ভিডিয়ো শুট করেছেন। এমনকি, তাঁকে মাদকাসক্ত করে নানা কথা বলিয়ে নিয়েছেন, যেগুলোর সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। মূলত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি কথা বলেছেন এ ক্ষেত্রে। আদিলের অভিযোগ, ইরানি ছাত্রীকে রাখি টাকা দিয়ে ধর্ষণের নকল অভিযোগ দায়ের করিয়েছিলেন। মায়ের ক্যানসারের অজুহাতেও রাখি বাজার থেকে টাকা তুলতেন। শোয়ের জন্য টাকা নিয়ে তা না করে এ ভাবেই নাকি লোক ঠকাতেন। আদিল জেলে যাওয়ার পরই রাখি জানান, আদিলের সন্তানের মা হতে চেয়েছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁর স্বামী নাকি পেটে লাথি মেরে সেই সন্তান নষ্ট করে দেন। যদিও রাখির স্বামীর দাবি ছিল, তাঁর মা হওয়াই সম্ভব নয়। কারণ তাঁর নাকি জরায়ুই নেই। পাল্টা জবাব আসে রাখির তরফে। সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ে তাঁর একটি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক চিকিৎসকের সঙ্গে বসে রয়েছেন রাখি। ওই চিকিৎসককেই রাখি প্রশ্ন করেন, তাঁর পক্ষে মা হওয়া সম্ভব কি না। চিকিৎসক জানান, রাখি নিজের ডিম্বাণু আগেই সংরক্ষণ করিয়েছিলেন। জরায়ুর অস্ত্রোপচারও করিয়েছিলেন রাখি। তবে সেই অস্ত্রোপচারে তাঁর জরায়ু বাদ যায়নি, বরং ফাইব্রয়েডগুলি বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এখানেই ক্ষান্ত হননি রাখি। এ বার অভিযোগ, তাঁর নগ্ন ভিডিয়ো প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে বিক্রি করেছেন আদিল। তা-ও আবার যে সময় তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সেই সময়। এক একটি ভিডিয়ো ৪৭ থেকে ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন আদিল। তিনি যখন বাথটাবে স্নান করছিলেন, সে সময়ে ভিডিয়ো তোলা হয়েছে। রাখির অনুমান, কোনও এক আরবিকে একটি ভিডিয়ো বিক্রি করেছেন আদিল। তা ছাড়াও রাখি বলেন, দিনের পর দিন বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। এই গোটা ঘটনায় রাখির পক্ষ নিয়েছেন তাঁর প্রথম স্বামী রীতেশ সিংহ। আদিলের দাবি, রীতেশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই তাঁর সঙ্গে নিকাহ্ করেন তিনি। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। এ বার দেখা যাক, কোথায় গিয়ে থামেন এই দুই পক্ষ! না কি এই নোংরা কাদা ছোড়াছুড়ি চালিয়ে যাবেন তাঁরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy