রাজনন্দিনী পাল। ছবি: সংগৃহীত।
পরনে কালো রঙের শাড়ি, ব্লাউজ়। চোখে মোটা করে লাগানো কাজল, কানে ঝুমকো দুল আর খোঁপায় কাঁটা। এমনই লাস্যময়ী রূপে ধরা দিলেন অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল। সাধারণত মিষ্টি নায়িকার চরিত্রেই দেখা যায় তাঁকে। হঠাৎ এমন সাহসী রূপে কেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানান, এর পিছনে তেমন কোনও ভাবনা ছিল না। ম্যানেজারের কথায় সাজ নিয়ে সামান্য পরীক্ষা করেছেন মাত্র।
রাজনন্দিনী বলেন, “আমার ম্যানেজার বলল, ‘তুমি তো সব সময়ে মিষ্টি হেসে ছবি তোলো। এ বার একটু অন্য কিছু করা যাক। এখানে ওই মিষ্টি মুখভঙ্গি করবে না।’ এমনই বকুনি দিয়ে আমায় দিয়ে এই শুটটা করিয়েছে ও। এটা নিয়ে আলাদা কোনও ভাবনা ছিল না। আমার ম্যানেজার যে ভাবে আমায় পরিচালনা করেছে, আমি সেটাই করেছি।”
অভিনেত্রী জানান, সমাজমাধ্যমে ‘ভিউজ়’ পাওয়ার জন্য তিনি এই শুট করেননি। রাজনন্দিনীর কথায়, “আমি কিন্তু ভিউজ় পাওয়ার জন্য করিনি। ভাল লেগেছে, তাই পোস্ট করেছি। আমার সমাজমাধ্যম, আমি যা খুশি পোস্ট করতে পারি। যত ক্ষণ না আমি কাউকে আঘাত করছি, মনে হয় না কারও কিছু বলার থাকতে পারে।”
ট্রোলিং নিয়েও কথা বলেছেন রাজনন্দিনী। অভিনেত্রী বলেন, “এমনিতে আমি খুব একটা পাত্তা দিই না ট্রোলিং-এ। খুব কমই আমি পাল্টা উত্তর দিই। তবে এক বার আমার মাকে নিয়ে নিয়ে কেউ মন্তব্য করেছিলেন। সেটায় খুব মাথাগরম হয়েছিল। সেই বার উত্তর দিয়েছিলাম।”
তবে সম্প্রতি এক ট্রোলারকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি। রাজনন্দিনীর কথায়, “দু’দিন আগেই মন্তব্য বিভাগে এক জনের সঙ্গে আমার ঝগড়া লেগে গিয়েছিল। আগেও এক বার তিনি দাবি করেছিলেন, আমি নাকি একটা গান আমার রিলে ব্যবহার করেছি বলে সেই গানের মাধুর্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমিও পাল্টা বলেছিলাম, আপনি কি গানটির গীতিকার না কি সুরকার?” সেই ট্রোলার রাজনন্দিনীর উদ্দেশে এমন মন্তব্যও করেছিলেন, “আমার মনে হয়, তুমি প্রযোজকদের শয্যাসঙ্গিনী হয়ে কাজ পাও।” এই প্রসঙ্গে রাজনন্দিনী বলেন, “আমার খারাপ লাগে অভিনেত্রীদের যা খুশি বলে অপমান করে দেওয়া যায়। কই, কোনও অভিনেতাকে তো এ সব শুনতে হয় না। এই মন্তব্যটা শুনে খুব রেগে গিয়েছিলাম। গালাগাল তো আর করতে পারি না। ভদ্র ভাষায় আমিও অপমান করেছিলাম।”
অভিনেত্রী যোগ করেন, “ট্রোলাররা ভাবেন, আমরা কিছু বলি না বলে, ওঁরা যা খুশি বলতে পারেন। আমায় অনেকেই বলেছিলেন, ট্রোলারদের গুরুত্ব না দিতে। কিন্তু আমি তো নিজেকে গুরুত্ব দিই। ওঁদেরও সেটা বোঝাতে চেয়েছিলাম। আমরা মানুষকে মনোরঞ্জন করার জন্য পরিশ্রম করি। আপনারা আমাদের এই ভাবে অপমান করতে পারেন না। আমরা শিল্পী।”
রাজনন্দিনীর এই রিলের পিছনে বাজছে ‘মাছের কাঁটা, খোঁপার কাঁটা।’ এই সাজে মেয়েকে দেখে পছন্দ হয়েছে মা ইন্দ্রাণী দত্তেরও। রাজনন্দিনী বলেন, “মা দেখেছে। শুটের সময়ে মা তো বাড়িতেই ছিল। মা সব কাজেই আমায় উৎসাহ দেয়। কাজের বিষয়ে মা আমায় কোনও বাধা দেয় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy