রাজন্যা মিত্র।
দুই ধারাবাহিকে একেবারে দুই মেরুর চরিত্র। কী ভাবে সামলান?
হ্যাঁ, একটা নেগেটিভ, একটা পজিটিভ... এটা আমাকে মেনটেন করে যেতে হয়... মানে... একই দিনে হয়তো দুই জায়গায় শুটিং... একবেলা নেগেটিভ অন্যবেলা পজেটিভ বা ভাইস ভার্সা... মহুয়া নেগেটিভ... বাড়ির বউদি... বাড়ির মধ্যে কূটকচালি করার জন্য যা হয় মহুয়াও তাই... নায়িকাকে পছন্দ করে না, একটা বিরুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করে রাখে। তো দুটোতে একসাথে টানা কাজ থাকলে ডিফারেনশিয়েট করতে হয়। চ্যালেঞ্জিং লাগে যে দুর্দান্ত দুটো জায়গায় দুর্দান্ত দুটো ক্যারেক্টার... আমি যেন দুটোই ভাল করে করতে পারি... পজিটিভটা যেন পজিটিভের মতোই হয় আবার নেগেটিভটা যেন এতটাই নেগেটিভ করতে পারি যাতে দর্শকরা আমার ওপর বিরক্ত হয়। মজা লাগে (হাসি)। একেবারে দু ধরনের চরিত্র একসঙ্গে করার সুযোগ সহজে আসে না। তো আমার সুযোগ হয়েছে। এনজয় করছি।
কোন চরিত্রটা দর্শক বেশি মনে রাখেন?
এই মুহূর্তে যে হেতু ‘ময়ূরপঙ্খী’-তে আমার প্রেজেন্স অনেক বেশি, লোকে বুবুকেই বেশি মনে রাখে। দর্শকদের যেটুকু ফিডব্যাক পাই তাতে এটাই মনে হয়। আর ‘নকশি কাঁথা’-র মহুয়ার জন্য ফিডব্যাক... আমার মা পাশে বসে সিরিয়াল দেখতে দেখতে বলে, ‘দেখলি? তুই কী করে এটা করতে পারলি?’... এমন ভাবে মহুয়াকে অপছন্দ করে ওই মুহূর্তে মনে হয় আমি তাঁর মেয়ে নই, আমি তাঁর ছেলের বউ... শাশুড়ি-বউমা সম্পর্ক যেমন হয় সেরকম একটা করে... হা হা হা... তো দুটোই খুব চ্যালেঞ্জিং।
আরও পড়ুন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডিনার করতে চান ক্যাটরিনা!
বুবু ও মহুয়া কার সঙ্গে রাজন্যার মিল?
অনেকটাই বুবুর সঙ্গে। কারণ আমার সবার সঙ্গে মেলামেশা করতে বেশ লাগে। বিশেষ করে যে ইউনিটে যখন থাকি সেই ইউনিটের বাচ্চাগুলোর সঙ্গে আমার খুব বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তো এই বন্ধুত্বের মধ্যে যে পজিটিভ ফিলটা থাকে সেটা কাজের ক্ষেত্রেও ডেফিনেটলি অ্যাফেক্ট করে। বুবুও ঠিক এরকমই... মেলামেশা করতে পছন্দ করে, সকলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, ভালবাসা দিতে জানে, তার মধ্যেও দয়া-মায়া-মমতা রয়েছে।
অবসরে কী করেন?
হঠাৎ করে ছুটি পেয়ে গেলে ঘুরতে যাই বন্ধুবান্ধব বা বাড়ির লোকের সঙ্গে। অবসরে নতুন নতুন অডিও ভিসুয়াল কাজ দেখি... ওয়েব সিরিজ, শর্ট ফিল্মস... নিজেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করি।
শুটিংয়ের ফাঁকে রাজশ্রী এবং মানালির সঙ্গে রাজন্যা।
অভিনয়ে কতদিন আছেন? কেমন মনে হচ্ছে?
আমি প্রায় ১৫ বছর হল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। নন ফিকশন দিয়ে আমার কাজ শুরু হয়েছিল। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ আমার প্রথম ফিকশন। ভালই লাগে কাজ করতে। একটা সুবিধা হয়েছে যে শুটিঙের নির্দিষ্ট টাইম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, আর্টিস্টদের কথা ভাবা হয়েছে। এমন তো নয় যে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত খেটে গেলেই পারফরম্যান্স ভালো হবে। তো সেদিক থেকে আমাদের কাজের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কাজ করতে ভালই লাগে। এখন নতুন নতুন ছেলেমেয়েরা কাজ করতে আসছে, বাচ্চা বাচ্চা ডিরেক্টররা কাজ করছে... বেশ ভাল। নতুন কিছু শিখতে পারি। ছোটদের থেকেও অনেককিছু শেখার সুযোগ পাই।
দুই ধারাবাহিকের দুই নায়িকার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক?
মানালি (নকশি কাঁথা), সোহিনী (ময়ূরপঙ্খী) দুজনেই ভারি মিষ্টি মেয়ে। তবে সোহিনীর সঙ্গে আমি প্রথম কাজ করছি। কিন্তু ভীষণ বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। আমি আর মানালি তো ক্রাইম পার্টনার... মানে আমরা... প্রি প্ল্যানড ওয়েতে ইউনিটের কারও পিছনে লাগি... মজা করেই অবশ্য। ‘ময়ূরপঙ্খী’-র সেট থেকে একটু সুযোগ পেলেই ‘নকশি কাঁথা’-র স্টুডিওতে চলে যাই... পাঁচ মিনিটের দুরত্ব... আমি, মানালি, স্নেহা, রাজশ্রীদি... আমাদের একটা হিডন রুম আছে, আমাদের ডেরা, ওখানে আমরা সময় কাটাই। যত বদমাইশির সাক্ষী এই চারজন।
আরও পড়ুন, হৃতিক রোশনের ভক্তদের জন্য সুখবর!
কী কী ক্রাইম করেন?
ক্রাইম কি আর নিজ মুখে বলা যায়?
হিডন রুম মানে কেউ খুঁজে পায় না?
না না, সেটা মেকআপ রুমই, ছোট্ট একটা মেকআপ রুম। অন্য সময় হলে হয়ত বলব, ‘বাবা, কী ছোট মেকআপ রুম!’... কিন্তু আড্ডার সময় ঠিক চারজনকে ধরে যায়... হা হা... মজা, আনন্দ থাকলে টিমওয়ার্কও ভালো হয়। এই মুহূর্তে দুটো জায়গায় কাজ করছি দু জায়গাতেই এই ব্যাপারটা আছে।
প্রেমে পড়েন?
... ভাল কাজের প্রেমে পড়ি।
ফ্যানরা প্রোপোজ করে?
না না না...আসলে অনেকদিন ধরে কাজ করছি তো... সবাই বোধহয় হাল ছেড়ে দিয়েছে... হা হা হা...
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy