রূপঙ্করের পাশে দাঁড়ালেন রাহুল।
অতিমারির কারণে সাময়িক মঞ্চানুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ইমন চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, মনোময় ভট্টাচার্য, রূপম ইসলাম, অনুপম রায় সহ বাংলার বহু শিল্পী সেই সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। মনোময় প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘আমরা খাব কী?’’ হতাশা, আশঙ্কা, ক্ষোভ— সব মিলিয়ে তিতিবিরক্ত হয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথার শুরুতেই বলেছিলেন, ‘‘আমার পর পর কয়েকটি শো বাতিল। আর কিচ্ছু ভাবতে পারছি না। বিরক্ত লাগছে।’’ তাঁর আক্ষেপ, এ ভাবে যদি নাগাড়ে চলতে থাকে তা হলে গান-বাজনা ছেড়ে শিল্পীরা অন্য পেশায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যাঁরা নতুন পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা টিকে যাবেন। যাঁরা পারবেন না বা কাজ খুঁজে পাবেন না, তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন!
রূপঙ্করের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শিল্পীকে বিরোধিতা করেছিলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সহ তারকা এবং সাধারণ মানুষ। সবার প্রশ্ন, গায়ক গানের পাশাপাশি অভিনয় করেও উপার্জন করছেন। তাঁর মুখে কি আত্মহত্যার কথা শোভা পায়? মঙ্গলবার মধ্য রাতে রূপঙ্করের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি সম্প্রতি দেখলাম, রূপঙ্করদার অভিনয় নিয়ে অনেকে অসূয়া প্রকাশ করছেন। গেয়েই তো অনেক টাকা ইত্যাদি। এঁরা কেউ রূপঙ্করদা এবং তাঁর স্ত্রীর থিয়েটারের ইতিহাস জানেন না। না জানাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই যুক্তিতে অনির্বাণ আর কোনও দিন গান গাইতে পারবে না! নির্দেশনা করেও ও অপরাধ করেছে। যথেষ্ট টাকা আছে ওর। ঋত্বিক আর পরমের প্রযোজনা বা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয়ও বাতিল করতে হয়।’
ফের কি নতুন কোনও বিতর্ক দানা বেঁধেছে? রাহুলের কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেতা বলেছেন, ‘‘নতুন করে কোনও বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়নি। কিন্তু রূপঙ্করদার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমার ভাল লাগেনি।’’ নাম উল্লেখ না করেই জানান, শিল্পীর অভিনেতা সহকর্মী, পরিচালক তাঁর এই ‘মাল্টিটাস্কিং’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সূত্রে অর্জিত অর্থ নিয়েও কটাক্ষ তাঁদের। অভিনেতার প্রশ্ন, এতে অপরাধ কোথায়? কেউ যদি একাধিক কাজ করতে পারেন, করুন! এই নিয়ে কারওর কোনও বক্তব্য থাকাই উচিত নয়। রাহুল আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই তাঁর সহকর্মী বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল। তার পরেই তিনি পোস্টটি দেন।
যাঁরা রূপঙ্করের বিরোধিতা করেছিলেন তাঁদের যদিও শিল্পীর একাধিক কাজ নিয়ে আপত্তি নেই। শিল্পীর আত্মহননের মতো নেতিবাচক মানসিকতায় আপত্তি তাঁদের। এই বিষয়েও সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছেন ‘দেশের মাটি’র ‘রাজা’। তাঁর পালটা যুক্তি, ‘‘রূপঙ্করদা সম্ভবত সেই সব শিল্পীর কথা বলতে চেয়েছেন, যাঁদের কাছে একাধিক কাজের রাস্তা খোলা নেই। তাঁদের ভবিষ্যত কী? কেউ কি এক বারও সে কথা ভেবে দেখেছেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy