ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাশে টলিউডের তারকারা।
পরপর দু’টি হার। প্রথমে পাকিস্তান, তার পর নিউজিল্যান্ড। টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের পৌঁছনোর আশা এখন ক্ষীণ। রবিবার সন্ধেয় ভারতের জন্য গলা ফাটাতে বসেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। চেনা মেজাজে ফিরুক ভারত, মনে প্রাণে চলছিল প্রার্থনা। বাদ পড়েননি টলিপাড়ার তারকারাও।
সব ব্যস্ততা সামলে টেলিভিশনের সামনে বসেছিলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ম্যাচ কিছু দূর গড়াতেই আঁচ করে ফেলেন ফলাফল। রাহুলের কথায়, “খুব দুঃখ হয়েছে। সম্ভবত ভারত বিশ্বকাপের দৌড় থেকে ছিটকে গেল। টি ২০-র অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের শেষটা এমন হবে ভাবতে খারাপ লাগছে।” তবে ফেসবুক-টুইটারে ভারতের হার নিয়ে কাটাছেঁড়া দেখে খানিক হতাশ রাহুল। তাঁর গলায় আক্ষেপের সুর, “ভাল সময়ে সবাই পাশে থাকে। বন্ধু হলে খারাপ সময়ে পাশে থাকতে হবে। আমি মনে করি, এই সময়ে আমাদের ভারতীয় দলের বন্ধু হওয়া উচিত।”
রাহুল একা নন, মন খারাপ বন্ধু সন্দীপ্তা সেনেরও। রবিবার সন্ধেয় বসে খেলা দেখার অবকাশ ছিল না ঠিকই। কিন্তু খোঁজ রাখছিলেন প্রতি মুহূর্তে। “খুব খুব খারাপ লাগছে। লাগাটাই তো স্বাভাবিক! পাড়ায় পাড়ায় ক্রিকেট খেলা হয়। এই খেলার সঙ্গে তো আমাদের আবেগ জড়িয়ে”, এক নাগাড়ে বলে গেলেন মনোবিদ-অভিনেত্রী।
অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু অবশ্য মত, সময় ভাল যাচ্ছে না ভারতীয় দলের। তাই এ ভাবে পরপর হার বিরাট কোহলীর দলের। খেলার ফলাফল নয়, বরং ভারতীয় অধিনায়ককে নিয়ে অবিরত ঠাট্টা-ইয়ার্কি ভাবাচ্ছে তাঁকে। বিশ্বনাথের কথায়, “খেলা এমন একটা বিষয়, যেখানে হার-জিত থাকে। সব সময়ে দিন ভাল যায় না। এই হারের পর থেকে বিরাটকে নানা রকম কটাক্ষ করা হচ্ছে। মানুষ ভুলে যায়, নিজের পরিবারকে দূরে রেখে ওঁরা দিনের পর দিন অনুশীলন করেন। দেশের জন্য খেলেন।”
একই কথা বলছেন স্বস্তিকা দত্তও। ভারতের হার নিয়ে কটূক্তির বন্যা চোখে লাগছে পর্দার ‘রাধিকা’র। তাঁর কথায়, “ভারত জিতুক ভারতীয় হিসেবে সেটাই চাইব। কিন্তু হেরে গেলে খারাপ কথা বলারও কোনও মানে হয় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy