সৃজিত-মিথিলা। ছবি: ফেসবুক
বাড়ি থেকে কাজ করছেন তিনি। মেয়ে আয়রাও বাড়িতে। রফিয়াদ রশিদ মিথিলা। বৃহস্পতিবার সৃজিতের পরবর্তী ‘কাকাবাবু’ সিরিজের শুটিং শেষ করে জোহানেসবার্গ বিমানবন্দর থেকে দুবাই হয়ে সকাল ৮ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে টিম ‘কাকাবাবু’। সৃজিতের মুখ ঢাকা ছিল মাস্কে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও মুখ ঢেকেই কথা বলেন তিনি। তবু সৃজিতের জন্য চিন্তা হচ্ছে মিথিলার।
সৃজিত জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত ১৬টি দেশের মধ্যে আফ্রিকা নেই বলে রাজারহাটে আইসোলেশন সেন্টরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি তাঁদের। তবে আগামী ১৪দিনের জন্য তাঁরা নিজেরাই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ (গৃহ পর্যবেক্ষণ) থাকবেন। পাশাপাশি এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের করোনা সংক্রান্ত সব ধরনের পরীক্ষাতেই প্রাথমিক ভাবে পাশ করেছেন তাঁরা।
“তবুও চিন্তা তো করছি। ঘন ঘন ফোনে আমাদের কথা তো হচ্ছেই। ভিডিয়ো কলও হচ্ছে। আয়রা সৃজিতকে বুঝিয়ে দিয়েছে কতটা সাবধানে থাকতে হবে। সৃজিতের বাড়িতে কেউ আসছেন না। ওর গাড়ির চালকের ও আসা বন্ধ। খাবার দিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ও ডিসপোজেবল প্লেটে খাচ্ছে।সব বন্ধ! ওর মা-ও আলাদা বাড়িতে” বাংলাদেশ থেকে ফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন সৃজিতের স্ত্রী, অভিনেত্রী মিথিলা।
আরও পড়ুন:কোয়রান্টিন নয়, ছুটির মেজাজে সবার সঙ্গেই বিদেশ-ফেরত অভিষেক, দেবেন ভাষণও!
ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করার দরুণ করোনা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন মিথিলা। “আমাদের দেশে স্কুল কলেজ বন্ধ। আমরা বাড়ি থেকে কাজ করছি, তবুও দেখছি বাবা-মায়েরা ছুটির মেজাজে বাচ্চাদের পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে! জমায়েতও হচ্ছে। শিক্ষিত মানুষও চোখের সামনে ঘুরছেন। করোনার জন্য মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যান সকলেই জানেন, তা-ও তাঁরা সতর্ক নন। এই মুহূর্তে এর চেয়ে ক্ষতিকারক আর কী হবে?’’ ক্ষোভ মিথিলার গলায়। মানুষ নিজের বিপদ ডেকে আনছেন এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। তবুও হার মানতে নারাজ মিথিলা। নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা বাড়াতে নানারকম পোস্ট, ক্যাম্পেনিং করছেন তিনি। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, আমাদের আশেপাশে বন্ধু, আত্মীয় সকলের কাছেই করোনা নিয়ে সতর্ক বার্তা পৌঁছে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন মিথিলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy