তাহসানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক মিথিলার? ছবি: সংগৃহীত।
যৌথ ভাবে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন তাহসান রহমান ও রাফিয়ত রাশিদ মিথিলা। তার পর থেকে একাই ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেতা তথা গায়ক তাহসান। এ বার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। রূপটান শিল্পী রোজা আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি। বহু দিন ধরেই তাহসানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জল্পনা চলছিলই। অবশেষে শনিবার গায়েহলুদের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সেই পরিষ্কার হল পরিস্থিতি।
২০১৭ সালে যৌথ ভাবে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন তাহসান ও মিথিলা। অভিনয় করতে গিয়েই ভালবাসার সম্পর্ক শুরু হয়েছিল তাঁদের। দীর্ঘ ১১ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা। তার ঠিক দু’বছর পরে ২০১৯-এ সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন মিথিলা। কিন্তু কন্যা আয়রার জন্য তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী।
২০১৬-র পরে আর একসঙ্গে কাজ করেননি মিথিলা-তাহসান। ফের ২০২৪-এর জুন মাসে ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজ়ে একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। ফের তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয় তখন। সেই সময়ে তাহসানের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন মিথিলা। তিনি বলেছিলেন, “এত বছর বাদে কাজ করলাম, লোকে আবার অনেক কথা বলতে শুরু করল। লোকে তো জানেই না আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভাল আছি। আমাদের যখন বিচ্ছেদ হয় আয়রার এক বছর বয়স। ওকে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরেছি। বাড়ির সাহায্য পেয়েছি। তাহসানের কাছে বাচ্চাকে রেখে বাইরে গিয়েছি। কর্মসূত্রে যখন বাইরে যাচ্ছি, তখনও আমি আয়রাকে সঙ্গে নিয়ে গেলে কাজের জায়গা থেকে ওরা আপত্তি করেনি।”
কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি থাকা সত্ত্বেও ঢাকাতেই মেয়েকে নিয়ে থেকেছেন মিথিলা। নিজের কাজ ও মেয়ে আয়রার জন্যই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আফ্রিকায় একটা কথা আছে, ‘একটা বাচ্চাকে বড় করতে পুরো গ্রামের প্রয়োজন’। এটাই সত্যি। আমি বলতে চাইছি বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে ঠাকুরদা-ঠাকুরমা, শাশুড়ি, বন্ধু সকলকে দরকার। আমার ঢাকায় চলে যাওয়ার এটাই মূল কারণ ছিল, মেয়েকে পরিবারের সাহচর্য দেওয়া। দর্শক ভাবছে ২০১৬-এর পরে ২০২৪-এ মিথিলা আর তাহসানের দেখা হল। এটা তা নয়, আমাদের তো প্রতি দিন কথা হয়। ব্যাপারটা ও রকম নয় যে বহু বছর পরে দু’জনের দেখা, পিছনে গান বাজছে।”
কিন্তু বিচ্ছেদের পরে সম্পর্ক রাখা স্বাভাবিক? এই প্রশ্নের উত্তরে মিথিলা বলেছিলেন, “সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবচেয়ে আগে। এটাই উচিত। আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান চোদ্দো বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দু’জন দু’জনকে ভাল করে জানি। আয়রা আমাদের দু’জনের কাছে সবচেয়ে আগে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy