দেবের প্রথম ছবির নায়িকা তিনি। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় ‘অগ্নিশপথ’ ছবিটি। নায়ক দেবের আত্মপ্রকাশ, নায়িকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় পনেরো বছরের চেনাজানা। দিন কয়েক আগেই রচনার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে দেখা গিয়েছিল দেবকে। এ বার নায়কের আসন্ন ছবি ‘প্রজাপতি’র প্রচারে শরিক হলেন রচনা। রচনার মঞ্চে গিয়ে রীতিমতো তাঁকে লজ্জায় ফেলেছিলেন দেব। সরাসরি অভিনেত্রীকে জি়জ্ঞেস করে বসেন তাঁর আয়ের কথা। তাতেই বেজায় লজ্জা পেয়ে যান রচনা। লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন অভিনেত্রী। তবে এ বার দেবের আমন্ত্রণে এসে হাপুস নয়নে কেঁদে ভাসালেন রচনা।
আরও পড়ুন:
দেবের আগামী ছবি ‘প্রজাপতি’ বাবা-ছেলের সম্পর্কের গল্পের ছবি। যেখানে ছেলে দেবের সঙ্গে বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্কের ওঠাপড়া, পরস্পরকে আগলে রাখাই এই চিত্রনাট্যের উপজীব্য। ছবির প্রচারে নিজের বাবার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন অভিনেত্রী। চলতি বছরেই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। আদরের মেয়ে ঝুমঝুম বাবাকে হারিয়ে সেই সময় বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। বছর ঘুরতে চললেও বাবাকে হারানোর স্মৃতি বেশ টাটকা। তাই বাবার প্রসঙ্গ উঠতেই চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘বাবার কথা উঠলে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। খুব আদরের। মা রাগী ছিলেন। বাবা কিন্তু কখনও বকেননি। আমার জীবনে এগিয়ে চলা, সফলতা— সবটাই বাবার দান। যাঁদের বাবা রয়েছেন, তাঁরা যে কতটা ভাগ্যবান তা তাঁরা জানেন। বাবার সঙ্গ পাওয়া কত বড় আশীর্বাদ তা যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই জানেন।’’ নাগাড়ে বলে গেলেন অভিনেত্রী, চোখের জল অবিরত ঝরে পড়ল কথাগুলির সঙ্গে।