অভিনয়ে আসার কোনও ইচ্ছা ছিল না রাধিকার। স্কুলের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এমন সময় ১৯৬৭ সালের একটি ঘটনা তাঁর জীবনে কালো মেঘ ঘনিয়ে তোলে। ওই বছর ১২ জানুয়ারি তাঁর বাবা প্রযোজক এমজিআর-এর বাড়িতে একটি বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। কথাবার্তার মধ্যেই এমজিআর-কে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। তার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে যাত্রায় দু’জনেই প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু খুনের চেষ্টার অভিযোগে বাবার চার বছর তিন মাসের জেল হয়। ওই ঘটনা মানসিক ভাবে ভেঙে দিয়েছিল রাধিকাকে। তাঁর মা গীতা তখন তাঁকে পরিচিত বলয়ের বাইরে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে চলে যান। কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর ১৪ বছর বয়সে পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
বলিউডেও সুযোগ করে নিয়েছিলেন নিজ গুণে। ১৯৮৬-তে ঋষি কপূরের সঙ্গে ‘নসিব আপনা আপনা’ ছবিই তাঁকে বলিউডে জনপ্রিয় করে তোলে। এ ছবিতে ঋষি কপূরের স্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ওই ছবিটি একটু আলাদা ছিল। ছবিতে নায়িকা-সুলভ মেকআপ তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই চরিত্রে অভিনয় করেই বিস্তর জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। তার পর অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, জিতেন্দ্র-র মতো তারকাদের সঙ্গে ছবি করেছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন।
পেশাগত জীবনে যতটা দ্রুত উন্নতি করছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সেই গতিতেই যেন একের পর এক বাজ পড়ছিল তাঁর উপর। বাবার ওই কৃতকর্মের জন্য বহু বছর পরিচিত গণ্ডির বাইরে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। তার উপর বিবাহিত জীবনও ছিল কণ্টকময়। প্রথমে খবর পাওয়া যায়, ১৯৮৫ সালে অভিনেতা প্রতাপ প্রধানের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
রাধিকা ও শরৎকুমার ফের শিরোনামে উঠে এসেছেন। ২০১৭ সালের একটি প্রতারণা মামলায় তাঁদের এক বছরের জেল হয়েছে সম্প্রতি। সেই বছর তাঁর স্বামী শরৎকুমার এক ব্যক্তির থেকে বড় অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিলেন। পরে চেক মারফত সেই টাকা তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করেছিল। তার পরই তাঁদের দু’জনের নামে মামলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy