প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সোনামণি রুজ।
বীরভূমের গড়গড়ি গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দা সোনামণি রুজ। সম্পর্কে শিলাজিৎ মজুমদারের গ্রামতুতো বোন। শয়নে-স্বপনে-জাগরণে তিনি কাকে চান? শুধুই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সোনামণি এর আগেও বহু বার তাঁর গ্রামের দাদাকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, এক বার যদি কোনও ভাবে বুম্বাদাকে তাঁর সামনে এনে দিতে পারেন। তিনি একটু ছুঁয়ে দেখবেন! গায়ক-অভিনেতা কত বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’-কে ও ভাবে ছোঁয়া যায় না। তিনি বাস্তবেও দূর আকাশের তারা। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
আনন্দবাজার অনলাইনকে শিলাজিৎ জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল সোনামণির আবদার কোনও ভাবে যদি ‘কাছের মানুষ’-এর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই ভাবনা থেকেই রবিবার তাঁর ফেসবুক পেজে সোনামণিকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শিল্পী। বোনের বার্তা তাঁর বুম্বাদার কাছে পৌঁছে দিতে। ‘ঝিন্টি’র স্রষ্টার কথায়, ‘‘ভাল পোশাক, ভাল-মন্দ খাবারের উপরে কোনও লোভ নেই। কথায় জড়তা। শারীরিক সমস্যা রয়েছে। জানি না ওর ভবিষ্যৎ কী! সোনামণি শুধুই বুম্বাদার স্বপ্নে বিভোর। ওকে যদি বলি বুম্বাদাকে মারব, সঙ্গে সঙ্গে রেগে লাল! দাদাকে চোখে হারায়। তাই মনে হল, ওর এই আবদারটুকু পূরণের চেষ্টা করা যেতেই পারে।’’
সোনামণির আবদারে সত্যিই গলেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হৃদয়। প্রত্যন্ত গ্রামের এক মেয়ে তাঁর স্বপ্নে বিভোর! শুনেই আপ্লুত তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সোনামণির উদ্দেশে ভিডিয়ো বার্তাও পাঠিয়েছেন। কী বলেছেন সেখানে? কথা দিয়েছেন, অতিমারি কমলেই তিনি এক দিন যাবেন শিলাজিতের গ্রামে। সোনামণির সঙ্গে দেখাও করবেন। কিছুটা সময় কাটাবেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর দাবি, আজও বাংলার মানুষ এ ভাবে ভালবাসেন বলেই তিনি কাজ করে যেতে পারছেন। সোনামণি কি জানেন, তাঁর স্বপ্নে দেখা রাজপুত্র তাঁকে বার্তা পাঠিয়েছেন? শিলাজিতের দাবি, ‘‘বু্ম্বাদা বলেছেন, সপ্তাহের
প্রথম দিন সোমবার দুপুরে তিনি ভিডিয়ো কলে কথা বলবেন সোনামণির সঙ্গে। তার পর এক দিন অবশ্যই পৌঁছে যাবেন বীরভূমের গড়গড়িতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy