পর্দায় একসঙ্গে মিথিলা এবং প্রসেনজিৎ।
টলিপাড়ায় বড় ঝড় তুলতে চলেছে শৌভিক কুণ্ডুর ‘আয় খুকু আয়’। সোমবার শ্যুট শুরু হচ্ছে ছবির। তার আগেই টলিউড তোলপাড়, এই ছবিতে জুটি বাঁধছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-রশিয়াদ রশিদ মিথিলা। সঙ্গে থাকবেন এক ঝাঁক তাবড় অভিনেতা। তালিকায় সোহিনী সেনগুপ্ত, দিতিপ্রিয়া রায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সত্যম ভট্টাচার্য, শঙ্কর দেবনাথ এবং রাহুল দেব বোস। শুধু জুটিতে নয়, ছবির গানের ক্ষেত্রেও সাহসের পরিচয় দিতে চলেছেন শৌভিক এবং সুরকার রণজয় ভট্টাচার্য। এই ছবিতে আবার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়-শ্রাবন্তী মজুমদারের একদা বিপুল জনপ্রিয় গান ‘আয় খুকু আয়’ শোনা যাবে। তবে নতুন ভাবে। খবর, গানটিকে এই সময়ের মতো করে বাঁধতে চলেছেন রণজয়। সম্ভবত কণ্ঠে শ্রীকান্ত আচার্য। অভিনেতা জিৎ এই ছবির প্রযোজক।
ছবির প্রথম লোগো প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার। লোগো জুড়ে ছবির নাম। ‘খুকু’ শব্দের মাথায় কুমকুম টিপ। তাকে ঘিরে চন্দনের সূক্ষ্ম কারুকাজ। ‘আয়’ শব্দে গাছকৌটোর ছবি। পুরোটাই যেন ভাসছে পদ্মপাতায়। টলমল করছে শিশিরবিন্দুর মতোই! এ ভাবেই অনেক ‘কথা’ বার্তা হয়ে পৌঁছে গিয়েছে সিনেপ্রেমীদের কাছে। কী বলতে চেয়েছে ছবির লোগো? ‘সুইৎজারল্যান্ড’ ছবিতে মধ্যবিত্ত বাড়ির স্বপ্ন দেখানোর পর চিরন্তন বাবা-মেয়ের গল্প বলতে চলেছেন শৌভিক। যেখানে একটি মেয়ের ছোট থেকে বড় হওয়া থাকবে। বাঙালি রীতি মেনে মেয়ের হাত ধরে বিয়ের মণ্ডপেও তাকে পৌঁছে দেবেন বাবা।
তার পর?
বাকিটা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘‘শহুরে বাবা-মেয়ে নয়, আমার ছবি শোনাবে গঞ্জের বাবা-মেয়ের কাহিনি। আজও যা বড় পর্দায় কেউ ধরেননি!’’ হঠাৎ শহর ছেড়ে শহরতলির গল্প কেন? পরিচালকের দাবি, সবাই শহরের কথা বলে। তিনি না হয় ভিন্ন দিক তুলে ধরলেন। তা ছাড়া, তিনি নিজে উঠে এসেছেন গঞ্জ থেকে। তাঁর পরিচালিত সমস্ত ছবিই তাঁর জীবনের ছায়া। পথচলার প্রতিটি ধাপে যাঁদের যে ভাবে তিনি দেখেছেন, তাঁরাই তাঁর ছবিতে জায়গা করে নিয়েছেন। রঙিন হয়েছেন তাঁর কল্পনার রঙে। সে ভাবেই বাবা-মেয়েও আসছেন। বোলপুরের আশপাশে লোকেশন এবং কলকাতায় সেট পড়বে ‘আয় খুকু আয়’-এর।
ছবিতে বাবার চরিত্রে অভিনয় করবেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’। তাঁর দ্বৈত চরিত্র। পরিচালকের দাবি, চরিত্রের মতোই বুম্বাদাকে একেবারে অন্য পেশায় দেখা যাবে। এই পেশায় অভিনয় করতেও তাঁকে এর আগে কেউ দেখেননি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, একাধিক বয়স ছুঁয়ে যাবেন বু্ম্বাদা। তার জন্য প্রস্থেটিক রূপটান প্রয়োজন। সেই দায়িত্বে রূপটানশিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু। বুম্বাদার মেয়ে দিতিপ্রিয়া। মেয়ের জীবনে মায়ের অবস্থান অল্প।
মিথিলা তা হলে আসছেন কী ভাবে?
শৌভিক যদিও অভিনেত্রীর নাম ঘুণাক্ষরেও উচ্চারণ করেননি। তবে গুঞ্জন বলছে, স্বল্প পরিসরেই পর্দা ভাগ করতে চলেছেন টলিউডের ‘অভিভাবক’ এবং সৃজিত-ঘরনি। কথায় কথায় পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি গল্পটি লিখেছেন বুম্বাদাকে ভেবে। চিত্রনাট্যে সহযোগিতা করেছেন সুগত সিংহ। ‘‘দাদাকে ভেবেই আমার গল্প। দাদা রাজি না হলে ছবিটাই হত না’’, অকপটে বলেছেন তিনি। ছবির গল্প শোনার পরে একই কথা বলেছেন প্রযোজক জিৎ-ও। ইদানিং চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষায় মেতেছেন তিনিও। গল্প শোনার পরে জিৎ এক বারও বু্ম্বাদার জুতোয় পা গলাতে চাননি? শৌভিকের বক্তব্য, ‘‘জিৎদা উল্টে বলেছেন, বু্ম্বাদা ছাড়া এই চরিত্র আর কেউ জীবন্ত করতে পারবেন না। দাদা রাজি না হলে ছবি হবে না।’’
কেন প্রসেনজিৎ-ই এই চরিত্রের জন্য? সঙ্গে সঙ্গে মুখে কুলুপ পরিচালকের। যুক্তি, দু’মাসের মধ্যে টিজার, ট্রেলার সামনে আসবে। সেখানেই লুকিয়ে উত্তর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy