শুটিংয়ের ফাঁকে নিজের সুখ-দুঃখের কথা তব্বুর সঙ্গে ভাগ করতেন সাজিদ। ছবি—সংগৃহীত
মুম্বইয়ে জুহুর উপকণ্ঠে ৭৪৭০ বর্গফুট জমি কিনেছেন প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। নিজের প্রযোজনা সংস্থাকে বড় করে গড়ে তুলতেই ৩১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করলেন তিনি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছিল এপ্রিলেই। সাজিদের সংস্থা স্ট্যাম্প ডিউটির জন্য ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা আগেই দিয়েছিল।
সাজিদের পরিবার বহু দশক ধরে প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত। প্রায় ২০০টির বেশি ছবি প্রযোজনা করেছে নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেনমেন্ট। সাজিদ প্রযোজিত ‘বাঘি’, ‘বাঘি ২’, ‘হিরোপন্তি’, ‘কিক’-এর মতো বহু ছবি জনপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘হাউসফুল ৪’, ‘জুড়ুওয়া ২’ও সাজিদের প্রযোজনায় এত সাড়া পেয়েছে যে সেগুলির সিক্যুয়েল তৈরি হয়েছে। সাজিদের আগামী ছবি ‘সত্য প্রেম কি কথা’ আসছে। সেখানে কার্তিক আরিয়ান এবং কিয়ারা আডবাণী রয়েছেন মূল ভূমিকায়।
সাজিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চার শেষ নেই। ১৯৯২ সালের ১০ মে। দুই বলি তারকার বিয়ে উপলক্ষে বলিপাড়ায় সানাই বেজে উঠেছিল। সাজিদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী।
কিন্তু সাজিদ এবং দিব্যার সুখের সংসার এক বছরও টেকেনি। বিয়ের দশ মাস পরেই তাঁদের বাড়ির পাঁচ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান দিব্যা। এই ঘটনায় সাজিদ ভীষণ ভেঙে পড়েন। নিজেকে আরও কাজে ব্যস্ত করে তুলেছিলেন তিনি।
দিব্যার কাছের বান্ধবী হওয়ায় সাজিদকে আগে থেকেই চিনতেন বলি অভিনেত্রী তব্বু। দিব্যা মারা যাওয়ার পর সাজিদের সঙ্গে একটি ছবির কাজ শুরু করেন তব্বু। ‘জিৎ’ ছবির জন্য একসঙ্গে কাজ করছিলেন তাঁরা। শুটিংয়ের ফাঁকে নিজের সুখ-দুঃখের কথা তব্বুর সঙ্গে ভাগ করতেন সাজিদ। দু’জনের বন্ধুত্ব ক্রমশ গভীর হতে থাকে এবং তব্বুকে নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেন সাজিদ।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, গোপনে নাকি আংটিবদলও সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। যদিও বিয়েতে রাজি হননি তব্বু। মজেছিলেন দক্ষিণের তারকা নাগার্জুনে। তব্বুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ওয়ার্দা খান নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হয় সাজিদের। সাজিদকে প্রেম নিবেদন করেন ওয়ার্দা। ২০০০ সালে তাঁর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সাজিদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy