বক্স অফিসে প্রভাব ফেলতে পারেনি আমিরের ‘লাল সিংহ চড্ডা’।
ছবি মুক্তির পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে আমির খানের ‘লাল সিংহ চড্ডা’। কখনও বন্ধ ছবির প্রদর্শনী। কখনও আবার ছবিতে আমিরকে দেখে পছন্দ হয়নি দর্শকের। ছবির স্বত্ব নেটফ্লিক্সে বিক্রি নিয়েও তৈরি হয়েছিল যাবতীয় বিতর্ক। এ বার প্রশ্ন তুললেন ছবির প্রযোজক। বলিসূত্রে খবর, আমিরের দোষেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘লাল সিংহ চড্ডা’। নায়কের প্রতি চূড়ান্ত বিরক্ত প্রযোজক। তাঁর কারণেই বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখেনি এই ছবি, দাবি ছবির প্রযোজকের।
‘থ্রি ইডিয়টস’ থেকে ‘পিকে’— বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করেছেন আমিরের বহু ছবি। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রেই উল্টে গেল পুরো চিত্র। হলিউডের সুপার হিট ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর গল্পই হিন্দিতে বলার চেষ্টা করেছেন আমির। এই ছবির স্বত্ব কেনার জন্য নায়ককে সাহায্য করে ভায়াকম ১৮। এই ছবির স্বত্ব কেনার জন্য নায়ককে ১৮০ কোটি টাকা দেয় ভায়াকম ১৮। কিন্তু তার পর এই ছবির বিষয়ে তাদের কোনও মতামতই নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি আমির। তার ফলে বেজায় চটেছে এই সংস্থা।
ছবি মুক্তির আগে অতুল কুলকার্নির এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছিল ‘লাল সিংহ চড্ডা’-র নেপথ্যকাহিনি। দু’বছর ধরে ফেলে রাখার পর আমির পড়ে দেখেছিলেন তাঁর চিত্রনাট্য। শুরুতে ‘ফরেস্ট গাম্প’ অবলম্বনে ছবির কথা শুনে রাজিই হননি তিনি। তাঁর মনেও দাগ কেটেছিল কালজয়ী হলিউড ছবি। এর নতুন কোনও সংস্করণ আমির চাননি। কিন্তু পরে বন্ধু অতুলের অনুরোধে পড়ে দেখেন চিত্রনাট্য। ভাল লেগে যায়। ছবির কাজ চলেছে অনেক দিন ধরে। তাই সহ-প্রযোজক এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের স্বাভাবিক ভাবেই অনেক প্রত্যাশা ছিল এই ছবি থেকে। কিন্তু আশানুরূপ ফল একদমই করতে পারেনি এই ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy