‘বিনোদিনী’ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে আগাম শুভেচ্ছায় সহ-প্রযোজক অরিত্র দাস। ছবি: সংগৃহীত।
রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘বিনোদিনী: এক নটীর উপাখ্যান’ দেখে চোখ ভিজছে দর্শকদের। বড় পর্দায় তাঁরা শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের আশীর্বাদধন্যা নটীর জীবন দেখে অভিভূত। তারই প্রতিফলন বক্সঅফিসে। সূত্রের খবর, মাত্র দু’দিনে ছবিটি ২৫ লক্ষ ব্যবসা করে ফেলেছে। চওড়া হাসি পরিবেশক শতদীপ সাহার মুখে। প্রেক্ষাগৃহে পা রাখলেই অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন নায়িকা।
এই ফলাফল আশা করেছিলেন সহ-প্রযোজক অরিত্র দাস? কতটা খুশি তিনি?
প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অরিত্রের কথায়, “ছবি ভাল ফল করবে, এই বিশ্বাস ছিল। তার থেকেও এগিয়ে গিয়েছে।” পাশাপাশি খেদও জানিয়েছেন। শনিবার এক পুরস্কার মঞ্চ থেকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর আগামী ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-এর ‘বিনোদিনী’ চরিত্রের নামঘোষণা করেছেন। পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর আগামী ছবির ‘বিনোদিনী’ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ছবির প্রথম নামঘোষণার সময় এই চরিত্রটি করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কা সরকারের। এই প্রসঙ্গে অরিত্রর বক্তব্য, “সৃজিতদার ঘোষণা শুনেছি। ওঁকে এবং শুভশ্রীকে আগাম আন্তরিক শুভেচ্ছা। তিনিও একই ভাবে ঐতিহাসিক চরিত্রটিকে জীবন্ত করবেন, আমরা জানি।” তার পরেই অনুযোগ, “সদ্য আমাদের ছবি মুক্তি পেয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে ভাল ফলও করছে। এর মধ্যেই পরের ছবির ‘বিনোদিনী’র নামঘোষণার খুব প্রয়োজন ছিল?” তাঁর মতে, পরিচালক আর কয়েক দিন পরেও নামঘোষণা করতে পারতেন।
এই প্রসঙ্গে কী বললেন প্রযোজক রানা? তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছুই বলার নেই তাঁর।
বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারি বিনোদিনী থিয়েটারে (স্টার থিয়েটারের পরিবর্তিত নাম)-এ মুক্তি পেয়েছে রুক্মিণীর ‘বিনোদিনী’। তাঁকে ঘিরে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল বোস, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, মীর আফসার আলি, ওম সাহানির অবস্থান। ছবিতে শৈশব থেকে নটীর বৃদ্ধকালের যাত্রা। বিনোদিনী হয়ে ওঠার লড়াই, সমাজের অবজ্ঞা, উপেক্ষা পেরিয়ে নারীবাদের জয়গাথা এই ছবি। দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলার নানা সাহিত্যে, সিনেমায়, থিয়েটারে এমনকি যাত্রায় উঠে এসেছে নটী বিনোদিনীর জীবনকাহিনি। যাঁরা সে সব দেখেছেন তাঁরা স্মৃতিমেদুর নতুন বিনোদিনী দেখে। এমনই দাবি সহ-প্রযোজকের। এই প্রজন্মের বেশির ভাগই চেনেন না নটীকে। তাঁরা তাই রুক্মিণীর আধারে নটীকে চেনার চেষ্টা করেছেন, জানিয়েছেন অরিত্র। প্রচুর মহিলা দর্শক চোখ মুছতে মুছতে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরোচ্ছেন, দেখেছেন তিনি। ছবিমুক্তির দিনে কোনও দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে বসে মুঠোফোন ঘাঁটতে দেখেননি, এমনও জানিয়েছেন।
ছবির পরিবেশক শতদীপ বলেছেন, “দ্বিতীয় দিন থেকেই সমস্ত প্রেক্ষাগ়ৃহ থেকে ভাল ফল পাচ্ছি। প্রথম দিন থেকে বিনোদিনী থিয়েটার, অজন্তা-সহ অনেক প্রেক্ষাগৃহই হাউসফুল। মোট ৮৬টি প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছে ‘বিনোদিনী’। দ্বিতীয় দিনেই শো-সংখ্যা বেড়েছে।” এই গতি বজায় থাকলে ‘বিনোদিনী’ বাংলা বিনোদন দুনিয়ার পালে হাওয়া দেবে, আশা পরিবেশকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy