চিকিৎসকের ভুলে আসল মুখখানাই হারাতে বসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
যতই সুন্দরী হন, নিজের রূপ নিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেন না অনেক তারকাই। শরীরে ছুরিকাঁচি চালিয়ে একেবারে ‘নিখুঁত’ হতে চান। ঝুঁকি থাকলেও সুন্দর হয়ে ওঠা ভীষণ জরুরি, ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই এক ধারণা বহু কাল প্রাধান্য পেয়েছে। তাই স্রোতে গা ভাসিয়েছেন রেখা, শ্রীদেবী থেকে শুরু করে ক্যাটরিনা কইফ, শিল্পা শেট্টি, মৌনি রায়, বা মাহিপ কপূরের মতো অজস্র বলিউড তারকা। তবে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ব্যাপারটা একটু আলাদা।
সুন্দর হয়ে ওঠার জন্য নয়, হাঁপানির সমস্যার কারণে এক বার নাকে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন ‘বরফি’-র নায়িকা। কিন্তু কে জানত যে, স্বয়ং চিকিৎসকই ভুল করবেন! যার জেরে আসল মুখখানাই হারাতে বসেছিলেন অভিনেত্রী।
প্রিয়ঙ্কা তাঁর আত্মজীবনী ‘আনফিনিশড’-এ অনেক কিছু লিখেছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে পারিবারিক জীবন, অনেক তথ্যই প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে ছিল নাকের প্লাস্টিক সার্জারির ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘আমার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এমন একটি সমস্যা, যা হাঁপানিতে আক্রান্ত কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। আমি এক পারিবারিক বন্ধুর সুপারিশ করা চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। আমার নাকের ভিতর একটি মাংসপিণ্ড বা পলিপ আছে বলে জানান তিনি। বলেন, সেটা অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হবে।’
সেই পলিপ কেটে বাদ দেওয়ার সময় নাকের মূল সেতুটিই উড়িয়ে দিয়েছিলেন ডাক্তার। প্রিয়ঙ্কার কথায়, 'যখন ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা হল, আমার নাক দেখে চমকে উঠলাম। মুখটাই বদলে গিয়েছিল। এমন চেহারা দাঁড়িয়েছিল যে, সেটা আমারই মুখ বলে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি ভাবিনি যে, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব আবার কোনও দিন। মনে আছে, অস্ত্রোপচারের পর মিডিয়া আমাকে ডাকনাম দিয়েছিল ‘প্লাস্টিক চোপড়া’।'
অভিনেত্রীকে তখন পলিপেক্টমির মাধ্যমে নাক ঠিক করতে হয়েছিল। তবে সেই ‘খুঁত’ অঙ্গে নিয়েই বর্তমানে তিনি গোটা বিশ্বের কাছে বৈগ্রহিক তারকা। ইউনেস্কোর আম্ব্যাস্যাডর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy