কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কাও। ছবি: সংগৃহীত।
মায়ানগরী ছেড়ে পাড়ি দেন সুদূর আমেরিকায়। এখন হলিউডেই জমিয়ে কাজ করছেন তিনি। জনপ্রিয় টেলিভিশন শো, একাধিক সিনেমার পর এ বার রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করেছেন। তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করে আর্ন্তজাতিক তারকার তকমা। এক সময় বলিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে নজর কেড়েছে তাঁর কাজ। তবে, নিজের কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীন বলিউড ছাড়েন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তবে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা কুপ্রস্তাবের মুখে পড়তে হয় তাঁকেও।
২০০২-২০০৩ সালের ঘটনা। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘একটি ছবিতে আন্ডারকভার এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করছিলাম। ছবিতে পোশাক খোলার একটি দৃশ্য ছিল। সেখানে বেশ কয়েকটা পোশাক পরতে চেয়েছিলাম আমি। কিন্তু পরিচালক নারাজ। তিনি বলেন, ‘তোমার অর্ন্তবাস দেখাতে চাই। না হলে কেউ ছবিটা দেখতে আসবে না’।’’
মাত্র দু’দিন কাজ করেই সেই ছবি থেকে বেরিয়ে যান প্রিয়ঙ্কা। বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা বাবা অশোক চোপড়াকে বলেন। তৎক্ষণাৎ আগাম পারিশ্রমিক ফেরত দেওয়ার উপদেশ দেন অভিনেত্রীর বাবা।
বলিউড থেকে যখন হলিউডে পা বাড়ান, সেই সময় গানই ছিল প্রিয়ঙ্কার ভরসা। ‘ইন মাই সিটি’, ‘এগ্জ়টিক’-এর মতো মিউজ়িক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে তাঁকে। উইল.আই.অ্যাম, পিটবুলের মতো বিশ্বখ্যাত পপতারকাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। বলিউড থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
সেই সময় অঞ্জুলা আচারিয়ার কাছ থেকে ফোন পান তিনি। অঞ্জুলাই প্রথম তাঁকে প্রস্তাব দেন, আমেরিকায় এসে গান গাওয়ার। কিছু দিন হলিউডে কাটানোর পরে প্রিয়ঙ্কা বুঝতে পারেন, গানের চেয়ে অভিনয়েই বেশি দক্ষ তিনি। তাই তার পরে আমেরিকাতেই অভিনয়ের কাজ খুঁজতে থাকেন দেশি গার্ল। একের পর এক অডিশন দেওয়ার পরে সুযোগ পান ‘কোয়ান্টিকো’ টেলিভিশন সিরিজ়ে। বাকিটা ইতিহাস। শেষ কয়েক বছরে প্রিয়ঙ্কা কাজ করেছেন ডোয়েন জনসন ওরফে দ্য রক, জ়্যাক এফ্রন, লিয়াম হেমসওয়ার্থ, অ্যাডাম ডিভাইন, রেবেল উইলসনের মতো তারকার সঙ্গে। এই মুহূর্তে সেখানে প্রতিষ্ঠিত তিনি। শোনা যাচ্ছে, ‘জি লে জ়রা’ ছবির মাধ্যমে ফের বলিউড ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy