যুদ্ধের অদৃশ্য ক্ষত, যা খবরে দেখা যায় না!
যে দিকে চোখ যায় ধুলোয় ঢাকা, ধ্বংসস্তূপ। তার মাঝখানে গিয়ে পড়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আতঙ্কে শত শত ফ্যাকাসে মুখ, মহিলাদের কান্না, শিশুদের অভুক্ত জঠর বিচলিত করেছিল তাঁকে। পরিকল্পনামাফিক, উদ্বাস্তু শিশুদের হাতে হাতে তুলে দিয়েছিলেন ঘরে তৈরি পুতুল! বিনিময়ে তিনি যা পেলেন, তা আজও ভুলতে পারেননি। এক ভিডিয়োয় স্মৃতি হিসাবে তা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
যুদ্ধের মধ্যে সে বার গিয়েছিলেন পোল্যান্ডে। ইউক্রেনের উদ্বাস্তু মহিলা আর শিশুরা কিছুটা নিরাপদে যখন সেখানে এসে পৌঁছেছেন, দেখা করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে। প্রিয়জন হারানোর বুকফাটা কান্নার মধ্যেও অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কাকে দেখে খুশি হয়েছিলেন অনেকেই। শিশুদের পুতুল দেওয়ার সময় ওরাই নিজে থেকে বলে ওঠে, পুতুলগুলোর নাম প্রিয়ঙ্কা হলে কেমন হয়? যুদ্ধবিধ্বস্ত খুদে মুখগুলোয় ঝলমল করছিল আলো। সে দিকে তাকিয়ে চোখ ভিজে যায় প্রিয়ঙ্কার। হাতে তৈরি কাপড়ের পুতুলদের নাম হয় প্রিয়ঙ্কা।
দেখা যায়, ভিডিয়োতে এক মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন অভিনেত্রী, যাঁর স্বামী, পরিবার পোল্যান্ড অবধি এসে পৌঁছতে পারেননি। তার আগেই যুদ্ধের গ্রাসে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছেন। আপাত ফুলেল বিশ্বে তাঁরাই ভয়াবহ বাস্তব— সে দিন আরও এক বার উপলব্ধি করেন প্রিয়ঙ্কা।
ভিডিয়োটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখছেন, ‘যুদ্ধের বেশির ভাগ ক্ষত অদৃশ্য। সেগুলো আমরা সাধারণত খবরে দেখতে পাই না। তবুও, ওয়ারসতে আমার ইউনিসেফ মিশনের প্রথম দিনের স্মৃতি এতটাই স্পষ্ট।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy