ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
৩৫ বছরেরও বেশি অভিনয় জীবনে ঋতুপর্ণ ঘোষের হাতে গোনা কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রসেনজিতের দাবি, এই দুটো ছবিই তাঁর অভিনয় জীবনের ঋতুবদল ঘটিয়েছে। প্রয়াত পরিচালক প্রমাণ করে গিয়েছেন, বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি প্রসেনজিৎ অন্য ধারার ছবিতেও অভিনয় করতে পারেন। ২০১৩-র ৩০ মে চলে গিয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। গত ৮ বছর ঋতুপর্ণ আর কোনও ‘ডাক’ পাঠাননি প্রসেনজিৎকে। রবিবার পরিচালকের প্রয়াণ দিবসে নতুন করে সেই শূন্যতা আরও এক বার অনুভব করলেন বাংলা ছবির ‘ইন্ডাস্ট্রি’।
অভিনয়ের সূত্র ধরেই একটা সময় পরিচালক অভিনেতার জীবনের ‘ধ্রবতারা’ হয়ে উঠেছিলেন। দরকারে প্রসেনজিতকে ঋতুপর্ণ শাসন করেছেন। আবার নিজের হাতে চন্দন পরিয়ে সাজিয়েও দিয়েছিলেন। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে অভিনেতা স্মৃতিমেদুর, ‘৮ বছর হয়ে গেছে তোর কোনও মেসেজ নেই। বকাঝকা নেই। সাক্ষাৎ হয় না। ঝগড়া হয় না। নতুন নতুন গল্প নিয়ে আলোচনাও হয় না’। অভিনেতার দাবি, এত ‘নেই’-এর মধ্যেও প্রয়াত পরিচালক তাঁর জীবনে ভীষণ ভাবে ‘বর্তমান’।
সেই জায়গা থেকেই প্রসেনজিতের আফসোস, অতিমারিতে ছবির দুনিয়ার যখন নাভিশ্বাস উঠছে তখন ঋতুপর্ণের মতো পরিচালকের থাকা খুব দরকার ছিল। অভিনেতার বিশ্বাস, ঋতুপর্ণ দুর্দিনেও নতুন পথের হদিশ দিতে পারতেন। তাঁর কাজ দিয়ে সমৃদ্ধ করতে পারতেন চলচ্চিত্র জগতকে। প্রসেনজিতের এই বক্তব্যকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি নেটাগরিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy