বহু-আলোচিত ‘প্রীতিলতা’ ছবির বাকি অংশের কাজও দ্রুত শেষ করার কথা ছিল পরিমনির।
মাদক কাণ্ডে জামিনে মুক্ত পরীমণি একের পর এক ছবির শ্যুটিং করছিলেন। বহু-আলোচিত ‘প্রীতিলতা’ ছবির বাকি অংশের কাজও দ্রুত শেষ করার কথা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকার। এর মধ্যেই হঠাৎ প্রকাশ্যে এল— পরীমণি অন্তঃসত্ত্বা, অভিনেতা শরিফুল রাজকে তিনি গোপনে বিয়ে করেছেন কয়েক মাস আগে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পরীমণি ঘোষণা করেন, আগামী দেড় বছর কোনও ছবির শ্যুটিংয়ে অংশ নেবেন না।
মাথায় হাত পড়ে বেশ কিছু পরিচালকের। তখন পরীমণি জানান, হাতের কাজগুলো শেষ করেই বিশ্রামে যাবেন। সেই মতো করছিলেন অসমাপ্ত ছবির কাজ। কিন্তু সম্প্রতি অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত ‘মা’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নায়িকা। ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
এ যাত্রায় সুস্থ হয়ে উঠে পরীমণি বুঝেছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়া জরুরি। ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য থমকে গেল ‘প্রীতিলতা’ ছবির কাজ। পরীমণির বক্তব্য, ‘প্রীতিলতা’ শেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ ওই ছবির দৃশ্যগুলোতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে পরিশ্রম আছে, শারীরিক সমস্যার আশঙ্কাও রয়েছে।
এ বিষয়ে ‘প্রীতিলতা’র পরিচালক রাশিদ পলাশ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “ছবি অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে এমনটা ঠিক বলতে চাই না আমি। পরী মা হবে। তার অনাগত সন্তানের কথা ভেবেই আমরা শ্যুটিং করছি না আপাতত। বাকি কাজটুকু পরী মা হওয়ার পরেই করতে চাই। ও সুস্থভাবে ‘প্রীতিলতা’-র সেটে আসুক। এটাই আমাদের চাওয়া।”
গত বছর ঢাকা ক্লাব কাণ্ডে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন পরীমণি। তার পরেই মাদক কাণ্ডে নিজে অভিযুক্ত হন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা তখন দেশে বিতর্ক ও নিন্দার কেন্দ্রে। সেই মুহূর্তে কী ভাবে যেন তাঁর সহায় হয়ে দাঁড়ায় নির্মীয়মাণ ‘প্রীতিলতা’ ছবিটি। জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম মহিলা শহিদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবন অবলম্বনে নির্মীয়মাণ ‘প্রীতিলতা’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন পরীমণি। সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, সে সময়ে স্বয়ং প্রীতিলতাই যেন ভর করেছিলেন তাঁর উপরে।
প্রীতিলতার বেশে পরীমণির একটি ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই দেশ জুড়ে পরীমণির পক্ষে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ইত্যাদিতে সামিল হন অজস্র মানুষ। গ্রেফতার, হাজতবাস, জামিন না পাওয়া— এমন সব কঠিন সময়ে পরীমণিও দৃঢ়, পরিণত মানসিকতার পরিচয় দেন। ক্রমশ হাওয়া ঘুরে যায়। দেশ জুড়ে যাঁর বিরুদ্ধে কেচ্ছা চলছিল, তিনি অচিরেই হয়ে ওঠেন নতুন প্রজন্মের নয়নমণি। এবং তার পাশাপাশি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক নক্ষত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর অনুগামী এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy