পূজা-আলিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
মহেশ ভট্ট বলিউডের অন্যতম নামজাদা পরিচালক। কিন্তু বিতর্ক তাঁকে বিভিন্ন সময় ধাওয়া করেছে। পুরনো একটি বিতর্ক আবার আলোচনায়। আলিয়া ভট্ট যখন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন, সেই সময় গুজব ছড়ায় পূজা ভট্ট নাকি আলিয়ার মা। ভট্ট পরিবারের সম্পর্কগুলো এক সময় খুব বেশি প্রকাশ্যে না আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে নানা সময়ে। অবশেষে এই প্রসঙ্গে জবাব দিলেন পূজা।
পূজা বলেন, ‘‘এটা ভীষণ বোকা ব্যাপার। এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতেও রুচিতে বাঁধে। এমন ভুল তথ্য যিনি ছড়িয়েছেন তাঁকে একটু ধরে আনা হোক। আসলে আমাদের দেশে এগুলো বহু আগে থেকেই চলে আসছে। কারও পরিবার নিয়ে নতুন নতুন গল্প তৈরি করে সেগুলো নিয়ে গসিপ করা।’’
আসলে মহেশ ভট্টের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁদের মধ্যে অভিনেত্রী পূজা সব থেকে বড়। মহেশের প্রথম স্ত্রী কিরণ ভট্টের সন্তান রাহুল ও পূজা। দ্বিতীয় স্ত্রী সোনি রাজদানের দুই মেয়ে আলিয়া ও শাহিন। অর্থাৎ পূজা ও আলিয়া সৎ বোন। তাঁদের বয়সের পার্থক্য প্রায় ২১ বছরের।
১৯৭২ সালে জন্ম হয় পূজার। মাত্র ২০ বছর বয়সে পূজার মা লরেন ওরফে কিরণের সঙ্গে বিয়ে হয় মহেশের। যদিও সেই বিয়ে খুব বেশি দিন টেকেনি। এর মাঝে সোনি রাজদানের প্রেমে পড়েন পরিচালক। মহেশ যখন সোনির প্রেমে পড়েন, তখন তিনি কিরণ ভট্টের সঙ্গে দাম্পত্যে আবদ্ধ। কিন্তু এমনই গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা, পরস্পরের থেকে দূরে থাকতে পারেননি। অনুপম খেরের সঙ্গে ‘সারাংশ’ ছবিটির শুটিং চলাকালীন মহেশ এবং সোনির প্রথম দেখা। উল্লেখ্য, সোনিও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সোনিকে বিয়ে করেন মহেশ। তাঁদের প্রায় সাঁইত্রিশ বছরের দাম্পত্য। দুই মেয়ের বাবা-মা।
এই মুহূর্তে আলিয়া দেশের পয়লা নম্বর অভিনেত্রীদের অন্যতম। তাই তিনি যখন বলিউডে পা দেন একটা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
মহেশকে নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। কখনও আসলাম থেকে নাম বদলে মহেশ হওয়া। কখনও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলেছে কাঁটাছেড়া। তাঁর দাম্পত্য জীবন নিয়েও কম চর্চা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy