বিয়ের আনন্দে উচ্ছ্বল পায়েল দেব। ছবি: ফেসবুক।
গত বছর রথের দিন পঞ্জাবি মতে ‘রোকা’ সেরেছেন পোশাক ব্যবসায়ী শিখর টন্ডনের সঙ্গে। কিন্তু সমাজমাধ্যমে পায়েল দেবের আশীর্বাদ নিয়ে গুঞ্জন ওঠে সম্প্রতি। ঘটনা কী? মঙ্গলবার অভিনেত্রীর কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। ছবি দেখে অনুরাগীদের প্রশ্ন, পায়েলের কি আশীর্বাদ হয়ে গেল? এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বললেন, “সকলে এই ভুলটাই করেছেন। আসলে গত বছর আমার রোকা হয়েছে। আর গতকাল আমার জন্মদিন ছিল। আমার আর শিখরের পরিবার উপস্থিত ছিল। মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে আশীর্বাদ করেন। সেই ছবি দেখে সকলে ভেবেছেন আমার আশীর্বাদ।”
কথার ফাঁকে বিয়ের পরিকল্পনাও ফাঁস করে দিলেন অভিনেত্রী। জানালেন, ৫ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। তাঁর কথায়, “কোভিড কাল অনেকের কাছে অভিশপ্ত। কিন্তু আমার কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ। ওই সময় সমাজমাধ্যমের হাত ধরে আমি শিখরকে পেয়েছি।”
সমাজমাধ্যমে পায়েল-শিখরের আলাপ। সম্পর্কে জড়ানোর আগে ভয় হয়নি? অভিনেত্রীর যুক্তি, “সম্পর্কে জড়ানোর আগে যাচাই করে নিয়েছিলাম। ভাল করে মিশেছি। আমার মা-বাবারও ওকে পছন্দ হয়েছে। তার পর বিয়েতে রাজি হয়েছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বরাবরের স্বপ্ন ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করবেন। তাঁর পছন্দ পঞ্জাবি ছেলে। সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। “শিখরের পরিবার নামেই পঞ্জাবি। কলকাতায় ওর জন্ম। ঝরঝরে বাংলা বলে। মাছ খেতে খুব ভালবাসে”, বললেন অভিনেত্রী।
জন্মদিনের উদ্যাপনে সুন্দর সেজেছিলেন তিনি। লাল পোশাক বেছে নিয়েছিলেন। সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। পছন্দের মেনু ছিল তাঁর পাতে। আর ছিল বড়দের আশীর্বাদ, হবু বরের ভালবাসা।
অভিনেত্রী জানালেন বিয়ের আগে বাগদান সারবেন। বাগদান, বিয়ের সাজ, থিম— এখনই ঠিক করে ফেলেছেন। বাগদানের দিন তিনি বেছে নিতে পারেন সোনালি বা রুপোলি রঙের পোশাক। বিয়ের সন্ধ্যায় লাল বেনারসি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। হাসতে হাসতে তিনি আরও বললেন, “শিখর শেরওয়ানি পরে বিয়ে করতে আসবে। তার পর নিয়ম মেনে বরপোশাক পরে পিঁড়িতে বসবে। ধুতি, টোপর পরে বিয়ে করবে বলে এখন থেকেই উত্তেজিত।” মেনু কি বাঙালি-পঞ্জাবি খানা মিলিয়ে? সে খবর এখনই ফাঁস করতে নারাজ পায়েল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy