পত্রলেখা ও রাজকুমার রাও। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দশ বছরের প্রেম। ২০২১-এ বিয়ে। বলিউডের অন্যতম ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে পরিচিত রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা। কিন্তু প্রথম দেখায় মোটেই রাজকুমারকে পছন্দ হয়নি পত্রলেখার। বরং একটু ভয়ই পেয়েছিলেন।
রাজকুমারের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেন পত্রলেখা। তার কিছু দিন আগেই রাজকুমারের ‘এলএসডি’ ছবিটি দেখেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি তার কিছু দিন আগেই ‘এলএসডি’ দেখেছি। এটাই রাজকুমারের প্রথম ছবি। আমার স্কুলের এক বন্ধু ফোন করে বলে সে একটি মিউজ়িক ভিডিয়ো করতে চায়। মিউজ়িক ভিডিয়োতে ‘এলএসডি’ ছবির অভিনেতা রাজকুমারের বিপরীতে আমাকে অভিনয় করতে হবে।”
প্রথম বার রাজি হননি পত্রলেখা। তিনি বন্ধুকে বলেছিলেন, “না রুকসানা। আমি এই কাজটা করব না। আমার মনে হয় ও (রাজকুমার) খুবই অদ্ভুত। আমার ভয় লাগছিল।” তখন সেই বন্ধু অভয় দিয়ে বলেছিলেন, “কিছু হবে না। আমরা গাড়ি পাঠাব। তুমি তোমার দিদিকেও নিয়ে আসতে পার।” এই শুনে মিউজ়িক ভিডিয়োতে কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে মন থেকে ভয় কাটেনি তাঁর।
রাজকুমারকে নিয়ে এতই অস্বস্তি ছিল পত্রলেখার মধ্যে যে, তাঁর পাশে বসতেও চাননি। মাঝখানে দিদিকে বসিয়েছিলেন। ‘এলএসডি’ ছবি দেখেই রাজকুমারকে ভয় পেয়েছিলেন বলে জানান পত্রলেখা। সে দিন নাকি পত্রলেখার দিদি অনর্গল কথা বলছিলেন রাজকুমারের সঙ্গে। এই দেখে দিদিকে পর্যন্ত সাবধান করেছিলেন পত্রলেখা। রাজকুমারের সঙ্গে বেশি কথা না বলারও পরামর্শ দেন তিনি।
প্রথম দিন রাজকুমারের সঙ্গে সামান্য বাক্যালাপ হয়েছিল পত্রলেখারও। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে তত দিনে কাজ করে ফেলেছেন পত্রলেখা। তার মধ্যে একটি বিজ্ঞাপন রাজকুমার নিজেও দেখেছিলেন। প্রথম দিনের আলোচনায় উঠে আসে সেই বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ। তখনই নাকি রাজকুমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, বিয়ে করলে পত্রলেখাকেই বিয়ে করবেন।
অন্য দিকে পত্রলেখাও দেখতে থাকেন, রাজকুমার তাঁর নিজের কাজ খুব ভালবাসেন। কাজের প্রতি তিনি খুবই নিষ্ঠাবান। এই দেখেই রাজকুমারেরও প্রেমে পড়ে যান পত্রলেখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy