পরিণীতি চোপড়া এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু ভারতেই নয়, তাঁর খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে। হলিউডের প্রথম সারির তারকাদের তালিকায় ইতিমধ্যেই নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ভারতে থাকাকালীন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যেই ধরা হত তাঁকে। প্রিয়ঙ্কার পর চোপড়া পরিবারের অন্য মেয়েরাও পা রাখেন বলিউডে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পরিণীতি চোপড়া। ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। প্রথম ছবিতেই নজর কাড়েন পরিণীতি। তার পরের বছর মুক্তি পায় ‘ইশ্কজ়াদে’। সেই ছবিতে পরিণীতির অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল বলিপাড়া। ওই একই সময় আত্মপ্রকাশ করেন আলিয়া ভট্ট। স্বাভাবিক ভাবেই তুলনা টানা শুরু হয় দুই অভিনেত্রীর মধ্যে। যদিও সেই সময় অনেকেই এগিয়ে রাখেন পরিণীতিকে। কিন্তু পরে অবশ্য বদলে যায় চিত্রটা। গত দশ বছরে কেরিয়ারে ফ্লপের সংখ্যাই বেশি অভিনেত্রীর। সম্প্রতি ‘অমর সিংহ চমকিলা’ ছবিতে পরিণীতির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মহলে। এই প্রসঙ্গে পরিণীতি জানান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া তাঁর দিদি বলে বিশেষ কোনও সুবিধা তিনি ফিল্ম জগতে পাননি।
বলিউডে স্বজনপোষণ রয়েছে বলেই দাবি করেন হিন্দি ছবির অভিনেতাদের একাংশ। তারকা সন্তান থেকে তারকা পরিবারের নিকটজনেরাই বেশি সুযোগ-সুবিধা পান বলে অভিযোগ। যদিও পরিণীতির অনেক আগে ইন্ডাস্ট্রি পা রেখেছেন প্রিয়ঙ্কা। নিজের একটা মজুবত জায়গা ছিল তাঁর। তবে দিদির জন্যই যে তিনি কাজ পেয়েছেন, তেমন নয়। পরিণীতির কথায়, ‘‘আমি যদি প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নাম ভাঙিয়ে টিকে থাকতে চাইতাম, তা হলে গত ১০ বছরে এতগুলো ফ্লপ ছবি ঝুলিতে থাকত না। হয়তো ইন্ডাস্ট্রিতে আগে থেকে চেনাজানা থাকলে প্রথম ছবিটা পেতে সুবিধে হয়। তার পরের সফরটা কিন্তু একেবারেই একার। প্রতিনিয়ত তুলনা টানা হয় পরিবারের সফল ব্যক্তিদের সঙ্গে। তাতে নিজেকে প্রমাণ করাটা আরও বেশি কঠিন হয়।’’ পরিণীতি স্বীকার করেছেন, প্রিয়ঙ্কার বোন হওয়া সত্ত্বেও তেমন কোনও লাভ হয়নি তাঁর। যদিও পরিণীতি এ-ও মানেন, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে স্বজনপোষণ থাকুক না থাকুক, পক্ষপাত রয়েছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy