হাওড়া শিবপুরের ডিএসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাতেনাতে আততায়ীদের ধরলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
যাঁরা সত্তর বা আশির দশকের মানুষ তাঁরা জানেন, হাওড়ার শালিমার রেল ইয়ার্ড কতখানি কুখ্যাত! রাতের বেলা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। দিনের বেলাতেও চট করে পা রাখতেন না কেউ। অঞ্চলজুড়ে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা ভাঙাচোরা ট্রেনের কামরা। তারই ফাঁকফোকরে নজর চালালে চোখে পড়ত রক্তমাখা লাশ! দিন এগিয়েছে। আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ, স্বাভাবিক এই রেল ইয়ার্ড। কিন্তু এখনও দিনের বেলায় গা ছমছমে। রাতেও পরিবেশ বদলে যায়।
এমন পরিবেশেই পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য তাঁর আগামী ছবি ‘শিবপুর’-এর প্রথম পর্বের শ্যুট সারলেন। সেখানেই হাওড়া শিবপুরের ডিসিপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাতেনাতে আততায়ীদের ধরলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়! অভিনেতা এই ছবিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ডান হাত আইপিএস অফিসার সুলতান সিংহ। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পরিচালকের দাবি, ‘‘অভিনেতার অভিনয় নিয়ে কোনও কথাই যথেষ্ট নয়। কিন্তু সমানে সমানে অভিনয় করেছেন হাওড়া শিবপুরের বর্তমান ডিসিপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যও। বিশেষ করে ধাওয়া করা বা দেখলেই গুলি করার দৃশ্যগুলিতে দু’জনেই প্রচণ্ড সাবলীল।’’
আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল আসল পুলিশ অফিসারের সঙ্গেও। এর আগেও তিনি একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। অরিন্দমের ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে নিজের ভূমিকাতেই। শ্যুটের অভিজ্ঞতা কেমন? প্রশ্ন রাখতেই পুলিশ অফিসারের জবাব, ‘‘একাধিক কারণে খুব ভাল লাগছে। এক, আমিও এখানকার বাসিন্দা। আমার এলাকা নিয়ে ছবি তৈরি হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি। দুই, আমি আমার চরিত্রেই এই প্রথম অভিনয় করছি। তিন, পরমব্রতর সঙ্গে অনেক লম্বা দৃশ্যে শ্যুট করলাম। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ব্যাপার।’’
পুলিশ অফিসার নিজের ভূমিকায় সাবলীল। পরমব্রতও অনায়াস? দ্যুতিমানের কথায়, ‘কহানি’-সহ একাধিক ছবিতে পরমব্রত পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে যথেষ্ট তরতাজাও রেখেছেন। ফলে, ধাওয়া করার দৃশ্যে পরমব্রত বিশ্বাসযোগ্য। তার পরেও নাকি শ্যুটের আগে দ্যুতিমানের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েছেন অভিনেতা।
পরিচালক জানিয়েছেন, আপাতত প্রথম পর্বের শ্যুট শেষ। দ্বিতীয় পর্বের শ্যুট শুরু হবে অগস্টে। তখন পরমব্রতর সঙ্গে দেখা যাবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্তকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy