সঙ্গীত জীবনের ৪০ বছরকে ফিরে দেখা। তারই উদ্যাপন। ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোকে ছুঁয়ে দেখতে ৩২ বছর আগে যে মঞ্চে যাত্রা শুরু, তাকেই আবার বেছে নিলেন গজল কিংবদন্তি পঙ্কজ উদাস। স্মৃতির সরণি ধরে চলতে ভালবাসেন পঙ্কজ। তাই ‘মহাদেবী কালিদাস নাট্যমন্দির’ আজও তাঁর স্মৃতিতে অমলিন। পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ শিল্পী— ‘‘৮০-র দশকের প্রথম দিকের কথা। অনুষ্ঠান করা নিয়ে আমি একটা নিয়মে চলতে চেয়েছিলাম। তাই ঠিক করি, বছরভর সপ্তাহ শেষে তিনটে করে গানের অনুষ্ঠান করব। মুম্বই শহরের কেন্দ্রে তখন অনুষ্ঠান মঞ্চ কম। শিল্পীদের জন্য একটা ভাল মঞ্চের প্রয়োজন ছিল খুবই। ঠিক এই সময়েই মালাডে ‘মহাদেবী কালিদাস নাট্যমন্দির’ তৈরি হয়। শিল্পীদের কাছে এটা বড়় প্রাপ্তি ছিল। সপ্তাহান্তে এই মঞ্চে অনুষ্ঠান করা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। আমার গানের অ্যালবাম ‘রুবায়ি’ এই মঞ্চেই প্রকাশ করি।’’
অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে ৮০-র দশককে মুগ্ধ করেছেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনাকাব’— পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আজ এত বছর পরে সেই মঞ্চের কথাই বার বার ফিরে আসছে পঙ্কজের স্মৃতিতে। সপ্তাহশেষের সেই দিনগুলোয় ফিরে যাওয়ার চিঠি পেয়েছেন তিনি। যাত্রাশুরুর মঞ্চ তাঁকে কতটা তৃপ্ত করবে? গজলশিল্পীর উত্তর, ‘‘কালিদাস মঞ্চে আমার সঙ্গীত জীবনের ৪০ বছর উদ্যাপন করা উচিত, এটা আমার মনে হয়েছিল। প্রিয় মঞ্চ থেকে আমি এত দিন দূরে ছিলাম, এটা আমার দুর্ভাগ্য।’’এই মঞ্চেই এক সময়ে শ্রোতাদের সঙ্গে কথা ও গানের আবেগে ভাসতেন শিল্পী, সেই রঙিন দিনগুলোকেই আবার জড়িয়ে ধরতে চান ৭১ বছরের ‘গজল কিং’।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy