(বাঁ দিকে) পঙ্কজ ত্রিপাঠী। মৃদুলা ত্রিপাঠী (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
ওটিটি মাধ্যম আসার পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা যেন আরও নজরকাড়া। বর্তমানে বলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় শীর্ষে নাম রয়েছে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর। কিন্তু তাঁর কেরিয়ারের রেখচিত্র মসৃণ ছিল না। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে তেমন উপার্জন ছিল না পঙ্কজের। স্ত্রীর উপার্জনের উপরেই নির্ভর করতে হত পঙ্কজকে। আট বছর ধরে সংসারের খরচ টেনেছেন পঙ্কজের জীবনসঙ্গী মৃদুলা ত্রিপাঠী। ১৯৯৩ সালে পঙ্কজের দিদির বিয়ে হয়েছিল। মৃদুলার দাদার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন পঙ্কজের দিদি। তাঁদের বিয়ের অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দু’জনেই। সেই প্রথম দেখা, সেখান থেকে প্রেম। ২০০৪ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। প্রায় ১৮ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। এতগুলো বছর কেটে গেলেও বাঙালি মেয়ে মৃদুলাকে মেনে নিতে পারেননি পঙ্কজের মা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজের স্ত্রী মৃদুলা বলেন, ‘‘আমার শাশুড়ি আমাকে আজ পর্যন্ত মেনে নেননি। কারণ, এই সম্পর্ক ভাল হতে পারে, এটা তিনি মনেই করেন না।’’ শুধু পঙ্কজের মা নয়, আপত্তি ছিল মৃদুলার বাড়িতেও। তারকা-পত্নীর কথায়, ‘‘আসলে আমাদের কোনও রক্তের সম্পর্ক ছিল না। তা ছাড়া ওদের বাড়ির মেয়ের আমাদের বাড়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। সেই সময় এটা মেনে নেওয়া যেত না, একটি মেয়ে তার তুলনায় অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল পরিবারে বিয়ে হয়ে আসবে। যে হেতু ওর দিদির আগেই আমাদের পরিবারে বিয়ে হয়, তাই আমার বাড়িতেও প্রথমে সে ভাবে মেনে নেয়নি যে নিজের তুলনায় দুর্বল কোনও পরিবারে বিয়ে হোক। কিন্তু এখন আর কী-ই বা করা যাবে।’’ এত বাধা সত্ত্বেও এই সবের প্রভাব পড়েনি পঙ্কজ-মৃদুলার সম্পর্কে। একসঙ্গে এতগুলো বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তাঁরা, একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy