Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Pankaj Tripathi

বড় পর্দায় ‘অটল’ হয়ে উঠতে টানা ৬০ দিন কেন খিচুড়ি খেয়ে থাকতে হয় পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে?

খুব শীঘ্রই অটলবিহারী বাজপেয়ী রূপে বড় পর্দায় দেখা যাবে অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠতে শুধু খিচুড়ি খেয়ে থাকতে হল কেন?

Pankaj Tripathi reveals why he ate khichdi for 60 days while playing Atal Bihari Vajpayee

‘ম্যায় অটল হুঁ’ ছবিতে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর লুক। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৩০
Share: Save:

দিন কয়েক আগেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেতার। বলিউডে দাপিয়ে কাজ করছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। আপাতত ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম কৃতী অভিনেতা তিনি। সহজেই যে কোনও চরিত্রে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করতে পারেন পঙ্কজ। এ বার তাঁকে দেখা যাবে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চরিত্রে। চলতি বছর বাজপেয়ীর ৯৭তম জন্মদিনেই পঙ্কজ প্রথম বার তাঁর লুকে প্রকাশ্যে আসেন। এই মুহূর্তে জোরকদমে চলেছে বাজপেয়ীর জীবনীচিত্র ‘ম্যায় অটল হুঁ’-র কাজ। অটল হয়ে উঠতে টানা ৬০ দিন শুধুই খিচুড়ি খেয়েছিলেন অভিনেতা। কেন এমন কড়া নিয়ম, জানালেন পঙ্কজ নিজেই।

চরিত্রের গভীরে ঢুকতে অভিনেতারা অনেক ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ জানান, বাজপেয়ীর জীবনীচিত্রের শুটিং চলাকালীন টানা ৬০ দিন খিচুড়ি খেয়েই ছিলেন তিনি। অভিনেতার কথায়, ‘‘অটল-এ আমি মোট ৬০ দিন শুট করেছি। আর ওই ৬০টি দিন কেবল খিচুড়ি খেয়ে থেকেছি। তা-ও আবার তেলমশলা ছাড়া। শুধু চাল-ডাল ও সব্জি দিয়ে বানিয়ে। নিজেই রান্না করে খেতাম। রেস্তরাঁ থেকে আনা খাবারে কী দেবে না দেবে, তা তো জানা যায় না!’’ কিন্তু হঠাৎ কেন এমন নিয়মে বাঁধলেন নিজেকে? পঙ্কজ জানান, চরিত্রের আবেগ সঠিক ভাবে ধরতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। পঙ্কজের কথায়, ‘‘এক জন অভিনেতা হিসাবে, আপনার পেট যদি ভাল না থাকে এবং আপনি অস্বাস্থ্যকর কিছু খান, তার পর যদি মনে হয় আপনি চরিত্রে সেই আবেগ ধরতে পারবেন, সেটা ভুল। এ কারণে শুটিংয়ের দিনে আমি শুধু খিচুড়ি খাই। মস্তিষ্ক এবং শরীরে সামঞ্জস্য তৈরির জন্য খাওয়া দরকার।” তবে শুধু শুটিং নয়, অভিনেতা ব্যক্তিগত জীবনেও সাত্ত্বিক যাপনেই বিশ্বাসী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE